আজ বিকেলের আকাশটা দেখেছো মন্দিরা ?
তোমাদের ওই টপ ফ্লোরের ফ্ল্যাট আর ব্যালকনিতে এসে পড়েছিল
শেষ বিকেলের সূর্যের আলো
বেশ ক’দিন পর এই রোদ্দুরের দেখা পেলাম
ভরা শ্রাবণের মেঘকে অবশেষে ছিন্নভিন্ন করে পেতল রঙে রাঙিয়ে
সূর্য নেমে এসেছিল আজ বিকেলে
আমার হাইওয়েতে , গাড়ির কাচে
আর তোমাদের টপফ্লোরের ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে,
তোমার স্লিভলেস সাদা পোশাকে ।
রোজই তোমাকে আমি
গাড়ি চালানোর ফাঁকে দেখে নিই
টপ ফ্লোরের এক টুকরো ওই ব্যালকনিতে ।
খোলাচুল তোমার মুখের চারপাশে
একা ব্যালকনির রেলিঙে তখন
শরীর হেলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো তুমি—
প্রতিদিন । রোদ থাকুক বা না-থাকুক ।
বিকেল চারটে বাজলেই
স্টিয়ারিং হাতে আমার বাতানুকূল শরীর
হয়তো আমি রাসবিহারি অ্যাভিনিউ
কসবা-বোসপুকুর রাজডাঙ্গা মেন রোড ছাড়িয়ে বাইপাস ধরে চিংড়িহাটার ক্রসিংয়ে তখন –
এরপর আরো খানিকটা যাবো নিউটাউনে ।
তবু তোমার ওই টপ ফ্লোরের ফ্ল্যাট ,
একটুকরো ব্যালকনি ,
ব্যালকনিতে সোনালি সূর্য বিকেলের--
তোমার স্লিভলেস সাদা পোশাকে আকাশভরা শ্রাবণ মেঘকে ছিন্নভিন্ন করে
অনেকদিন পর বৃষ্টিভেজা একরাশ পেতলরঙা আলোর ঝলকানি । আজ পেলাম অনেকখানি ।
সবই রোজ
আমার বাতানুকূল গাড়ির কাচে মন্দিরা ।
ঠিক বিকেল চারটে বাজলেই ।
রোদ থাকুক বা না-থাকুক ।
আজও কি একইভাবে বারান্দায় ঠায় দাঁড়িয়ে
বিকেলের আকাশটা দেখেছিলে মন্দিরা ?