শরীরের তীব্র সম্ভোগস্পৃহা শান্ত হয়ে আসে
একটু বয়সের পর
ভালোবাসা তখন কানায় কানায় পূর্ণ
বা বলা যায় পূর্ণতা পায়,
কোনো এক দগ্ধ গ্রীষ্মদিনের শেষে
সন্ধ্যার শীতলতা স্থায়ী হয় অনেকক্ষণ।
দুপুরের অতিষ্ঠ গরমে স্বেদ ছিল,
ক্ষরণ ছিল, স্খলন ছিল,
যৌনতার আকুলতায় যেমন থাকে
তীব্র দংশন, পেষণ বা মর্দন ও শোষণ,
কিন্তু এই শীতল সন্ধ্যাবেলা আমার কাছে নিরাকার,
কোনোকিছু ঘটে যাওয়ার বিবরণ দিয়ে
আমি একে বুঝতে পারিনা।
বুঝতে হয় অনুভব দিয়ে, বুঝতে হয়
জীবন থেকে নেওয়া কোনো এক পূর্ণাঙ্গ গল্প দিয়ে।
এই সন্ধ্যাবেলা আমার কাছে অনেকটাই
ছোটোগল্পের শেষের মতো,
ঘটনাবহুল ছোটোগল্প সমাপ্ত হলে
মনে থেকে যায় শুধু তার রেশ,
এই সন্ধ্যাকালে আমি ভালোবাসার
প্রকৃত রেশ খুঁজে পাই।
তীব্র যৌনমিলনের মধ্যে
আদিম প্রবৃত্তির উন্মাদনা আছে। কিন্তু রেশ নেই।
একটু বয়সের পর শরীর শান্ত হয়ে এলে
আমরা রেশ ধরে বসে থাকি,
দিন,মাস,বছর পার করে এসে
যেভাবে একটা রেশ থেকে যায়—
সম্পর্কের রেশ, ভালোবাসার রেশ, পাওয়া ও না-পাওয়ার রেশ, আত্মতৃপ্তি ও অপূর্ণতার রেশ।
সেখানে শরীর সম্ভোগের স্মৃতি
অতীতের কোনো ক্যালেন্ডারের পাতা মাত্র,
মনে পড়ে,
কিন্তু সন্ধ্যার শীতলতাকে বিঘ্নিত করতে পারে না।
দূর-দূরান্ত থেকে ফিরে এসে নারী ও পুরুষ
এভাবেই দুদণ্ড জিরোতে চায় এই সন্ধ্যাবেলা।
ভালোবাসার এই রেশ
যাদের জীবনকে প্লাবিত করেছে,
তাদের কাছে অনেক বেশি কাঙ্ক্ষিত
এই শান্ত শীতল সন্ধ্যাবেলা--
কোনো এক দগ্ধ গ্রীষ্মদিন
অনেক বেশি ক্লেশ ও শ্রান্তির,
তুলনায় শান্তিময় প্রেম অলস,
কিন্তু পূর্ণতায় একটা গোটা জীবন। সফল জীবন।