যে সম্পর্কের কোনো পরিণতি নেই সেখানে বসত করে না ভালোবাসা,
কোনো একটা আধারের খুব প্রয়োজন
সেটা বন্ধুত্বের হোক বা অন্যকিছুর,
রক্তমাংসের হৃদপিন্ডও তো হৃদয়েরই আবাসস্থল।
তবুও তো জানা ছিল
কোনো দুর্গম সত্যের মতো
মহানতা নিয়ে মানুষ আজও আছে বলেই
তুমিও সেরকম আছো, আর তাই আমাকেও থেকে যেতে হয়েছে সেখানে--
দাসখত নয়, হৃদয়ের কোণে কোথাও তো কোনো দায়বদ্ধতা লুকিয়ে বাস করে!
শুধু হিসেবে একটা ভুল ছিল, ভুল ছিল কিছু বিবেচনায়,
বিজ্ঞানীরও ভুল হয়, ভুল হয় দার্শনিকের,
তাহলে প্রেমিকের ভুল হলে খালি দোষ!
আর সেই ভুলটাকে আগাগোড়া ঠিক ভেবে মেনে আসা আরো একটা মস্ত ভুল।
ভুল তবু হাতে ধরে আমাকে শিখিয়েছে--
প্রত্যেকেই নিজেকে সুখী দেখতে চায়,
নিজেকে ভালো রাখার ও ভালোবাসার পূর্ণ অধিকার তার আছে।
ভালোবাসা বালি আর সিমেন্ট সহযোগে ইটের সু-গাঁথুনির মতো,
যেখানে ইটের কঠিনবর্ম জ্যামিতিক বিন্যাস না থাকলে গাঁথুনিটাই কবে অর্থহীন হয়ে যায়,
অনেকটা পরিণতিবিহীন সম্পর্কের
হঠাৎ দপ করে জ্বলে উঠে বিলীন হয়ে যাওয়ার
গল্পের মতো।
তবে কি ভালোবাসা ধরে রাখতে সেই সমাজস্বীকৃত আধারই নিতান্ত সম্বল,
আর বাকি যা কিছু তা সবটাই মায়া, মোহ আর আকর্ষণ,
প্রপঞ্চময় এক ভ্রান্তিপ্রাসাদ
অস্থির বুদবুদ যেন জীবনময়!
তাহলে হে এসময়ের কবি, সমূহ অসময় এ যুগসন্ধিক্ষণে, কীসের এত বড়াই কর--
বলেছিলে না, নিয়মভাঙার নিয়মে ভালোবাসাই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে!
এভাবেই জন-অরণ্যে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকলে ভালো করে বুঝে নিই, 'তুমি আর নেই।'
এরকম ঝড়ের তাণ্ডবে সুবিকশিত গুল্মঝোপকে সাক্ষী রেখে তবু অকালে প্রাণ হারায় সময়ের দোসর হয়ে চলা পুরোনো বৃক্ষটি!
ভালো থেকো তবু তুমি!