রাতে ঘুমোনোর আগে
একটু কিছু লিখে নেব
তারপর সব গোটাব
এমনটিই ভেবেছিলাম,
সেইমতো একটি কি দুটি কবিতা লিখব বলে
রাতের খাওয়া তড়িঘড়ি শেষ করে
প্রায় গোটা আট-দশ কবিতা পড়লাম;
কারণটি জানা ছিল ঢের আগে থাকতেই--
যত বেশি লেখা, তার চেয়েও বেশি পড়া।
আর এখন দেখ,
মাথার মধ্যে স্নায়ুতন্ত্রে বিস্ফোরণ লেগে গেছে
কবিতার শব্দগুলো ফুলঝুরির স্ফুলিঙ্গের মতো
এদিকে ওদিকে শুধুই ছিটকে ছিটকে পড়ছে।
কিন্তু কবিতা লেখা মানে কি নিছকই আতসবাজির প্রদর্শন,
এখান থেকে শব্দ সাজিয়ে কবিতা দাঁড় করাতে হলে
আগে ভাগে আমার মাথার ব্যামোটিকেই তাড়ানো দরকার।
সে না হয় হয়ে যাবে
কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় কবিতা লিখেছেন ক'জন কবি!
কবিতা তো উদগিরণ, বিক্ষোভজাত!
হয়ে গেল,
এরচেয়ে রাত বাড়লে আর দ্বিধা কেন
পত্রপাঠ কবিতার খাতা উল্টে রেখে
ঘুমের সঙ্গে সন্ধি করে নেওয়াই যুক্তিযুক্ত!
তবু শেষমেশ কবিতা আসে --
নিম্নচাপ ঘনীভূত হলে বৃষ্টি নামাটাই দস্তুর
এভাবে আশ্বস্ত হলে তবেই মাথা বেশ ঠান্ডা হয়।