আজকাল সন্ধে পার করে আঁধার নামলে মুহূর্তগুলো একইভাবে জীবন্ত হয়
বাতাস সাক্ষী থাকে সবসময়,
তোমার হাতে উঠলে বাদ্যযন্ত্র
অনেকটা সময় কাটে তোমার সাথে তোমার সামনে,
তুমি তানপুরায় পারিজাত ফোটাও, গন্ধপুষ্প তোমার প্রিয়
আমার পাশ দিয়ে ঠিক তক্ষুনি বয়ে যায় স্রোতস্বিনী নদী ছলাৎছল
হৃদস্পন্দনে ধুন উঠলে এক আঁজলা জল নিয়ে আচমন সেরে নিই।
সন্ধে পার করে আঁধার নামলে রোজ মুহূর্তগুলো জীবন্ত হয়
বাতাসে যন্ত্রসঙ্গীত মূর্ছনা ছড়ায়
মুখোমুখি বসি আমরা দুজন
তোমার ঘরের পাশেই নদী, নদীর ওপারেতে শস্যক্ষেত্র ও জঙ্গল
আঁধার ঘন হলে ক্রমশ জ্যোৎস্না ছড়ায় প্রকৃতির বুকে।
তোমার তানপুরার সুর ভেসে যায় দিগন্তে, একে একে নদী, শস্যক্ষেত্র ও জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়ে।
বুনোফুল ফোটে ঘরের আশেপাশে,
একটু বেরিয়ে আমি তাদের আদর করে দিই।
অনাবিষ্কৃত জ্যোৎস্না খেলে যায় তোমার মুখে, মসৃন পালকের মতো রুপোলি জ্যোৎস্না। বুনোফুল তুলে নিয়ে আসি, তোমার আনত চিবুকে হাত ছুঁইয়ে স্পর্শ এনে দিই বুনোফুলে --
হৃদস্পন্দনে ধুন উঠলে আমি চারপাশে শুধু ফুলের গন্ধ পাই,
তোমার মাথার চুলে একমুঠো জ্যোৎস্না দিয়ে গুঁজে দিই নাম-না-জানা বুনোফুল।