কে তুমি গো? কি পদবী?
কোন বর্ণ? কোন প্রজাতি?
ধর্ম, লিঙ্গ, বয়স ভিন্নে
কষছো নিয়ম পৃথক চিহ্নে
সমাজের এক অলীক যন্ত্র,
সবাই বলে পিতৃতন্ত্র!
দিচ্ছো কেটে গণ্ডীখানা
ভিন্-প্রজাতির পুরুষ নারীর মিশেল মানা।
কভুও তবু হৃদয় মাঝে
সুর যদি ভুল, বেতাল বাজে-
'রিজওয়ানুর' হবেই তখন সঠিক দাওয়াই!
'রাজধানীতে অনার-কিলিং'
রেওয়াজ এটাই!
নইলে কি আর কঠিন মন্ত্র,
এরেই ত কয় পিতৃতন্ত্র!
ইন্দোনেসে সাগরপারে
পুলিশ পিকেট পথের ধারেই
ভিড় করা সব রূপান্তরের বিবশ নারী!
চাঁচছো মাথা, চুলের ঝুটি
ধরছো টিপে গলার টুঁটি
বলপূর্বক পুরুষকরণ
ছিঁড়ছো কোমল লাজ-আভরণ!
দেখিয়ো দিচ্ছো পুরুষতন্ত্র,
সত্যি বটে পিতৃতন্ত্র!
সেই পুলিশই ডিউটি শেষে
ব্রিজের নিচে লেকের পাশে
'ডাগর' দেখে শিকার ধরে!
লোলুপ চোখের আঁতিপাতি
কি বা ধর্ম! কি প্রজাতি!
নারী -পুরুষ কি এসে যায়,
শরীর যদি আনন্দ পায়!!
অন্ধচোখে বাদুর-পেঁচাও
উল্টে দেখে শোষণতন্ত্র,
এই কি আসল পিতৃতন্ত্র!!??
এই কি পিতা, এই সমাজের?
এই কি ত্রাতা? এই দেবতা?
রক্ষা করে চলছে সবার
ন্যায্য পাবার সব অধিকার?
এর মূলে যে ঘুণ ধরেছে...
ভিড় করছে হাজার প্রশ্ন
কপচে সমান-নীতির ভাষণ
সুবিধা খোঁজা আসলে অন্য!
হরেক পথে চাইনে আর
এ শাসনতন্ত্র !
হোক অবসান
সুবিধাবাদের পিতৃতন্ত্র।।