শীতের কামড় যেই না গেল,
জাঁকিয়ে এলো ফাগুন মাস -
লাগল আগুন কবির খাতায়
রঙীন হল হৃদ-পলাশ।

ঘরের ছেলে পড়ার চাপে,
কেবল কাঁপে শেষ কালে-
মনের গতি চপল তবু
কাজের মাঝেই 'গান' চলে।

তাইনা শুনেই মেজাজ হারান,
ঘরের যিনি প্রধান লোক-
'পড়ার মাঝে গুনগুন গান!'
গিন্নি কাঁপান ব্রহ্মলোক।

''বাপের সাথী পদ্যখাতা,
ছেলের গলায় ইঙ্গো-ধুন !
'গোল্লা পেলে " হাঁকেন গিন্নি-
''দুই ব্যাটাকেই করবো খুন।"

বাড়ীর যিনি কাজের পরী,
ফোন কানেতেই কাজ করেন-
গিন্নিমা-এর মেজাজ দেখে
অল্প কথায় প্রেম সারেন।

দুধের ছেলে দুধ না দিয়ে
জল দিয়ে যায় দুইবেলা-
ফাগুন বায়েই উলট পুরাণ
বৃথাই সেটা 'দোষ' বলা।

এমন ভাবেই পোড়ায় ফাগুন
প্রবীণ জবীর-স্থবীর বেশ-
গজায় নতুন সবুজ পাতা
জাগায় প্রাণে নবীন রেশ !

একুশে এক এমন দিনেই
ভায়ের স্মৃতি রক্ত-লাল-
অমর হল মায়ের ভাষা
দুঃখসুখের ভোর-সকাল।