আয় বরকত্, আয় জব্বার,
আয় সালাম আর আয় রফিক
আবিরে রাঙানো শহীদ মিনারে,
বর্ণমালা নিশান দিক।
মায়ের মুখের বুলির আঁচড়,
আঁকলি সোনার অক্ষরে
ছুঁড়ে দিলি তোরা জীবনের কড়ি,
দেশ-বাংলার বুক চিড়ে।
দেশ-মাতৃকা ভাষা-মাতৃকা,
ঝড়িয়ে রক্ত চোকালি ঋণ
আগুনে লিখলি অমর-একুশে,
করলি মায়ের ভাষা স্বাধীন।
এই পাড়ে আছি -ঐ পাড়ে যাই,
অক্ষর জ্ঞানে ভেদাভেদ নাই
এতটুকু যদি শেখাস কেমনে,
চোকায় মায়ের ভাষার দাম
দ্রোহ -ভালোবাসা সবটুকু দিয়ে,
সকল ভায়ের কাঁধে কাঁধ দিয়ে
কেমনে আনিস ভোর-সকাল,
ভাষালক্ষীকে দিস সেলাম !?
আমরা এধারে আধভাষী হয়ে,
ভুলেছি মায়ের বন্দনা
ককটেল ভাষা ঘোরে মুখে-মুখে,
'হাই'-'বাই' বলি মন্দ না।
শংকর ভাষা মোদের বুলিতে,
ঝুলি নিয়ে হাঁটে কাঙাল-মা
দ্বার হতে দ্বারে ভিক্ষে ফিরেছে,
নিত্য সইছে যন্ত্রণা!
ভিনভাষা এসে আড়িপাতে মুখে,
কেমনে ফেরাবো 'একুশে-ভোর'
গর্বেতে তাই নোয়াই এ মাথা,
আস্থা শহীদ-মিনারে তোর !
মায়ের ভাষার অপমান হলে
উঠুক ঝলসে তরবারি
শপথের বাণী জাগাক স্বত্তা -
বীর একুশের ফেব্রুয়ারী।