বিছানায় পড়ে একা মোক্ষলোভী ব্রীড়া,
রক্তিম আবেশ তার ঘোচেনি এখনও,
তোমার পাশেই সে তো নিত্য যায় আসে
মনের গভীরে ডুবে খুব করে চেনো ।
বৃন্ত ধারে উপচে পড়ে মন্দাকিনী স্রোত
অনায়াসে সৃষ্টি করে খর জলপ্রপাত,
কালের বদলে তার ফল্গু হল নাম
তবুও এখনো ধরে ঋষি- রিক্ত হাত ।
মৎকুন অনায়াসে দেয় হাত গন্ডদেশে
পাওয়ার আকাঙ্খা সে তো জন্মগত দোষ
মৎসরে আক্রান্ত আমি,দীপ নির্বাপিত
মা ভৈ তবু তো শুনি,শুনি আলোর নির্ঘোষ ।
পিচ্ছিল পথের ভয়ে সন্ত দূরে যায়
রাধিকা আয়েসে হাঁটে ,লক্ষ্য বংশী ধ্বনি
স্খলন কাকে যে বলে সেই ভাবি মনে
সত্যের হাতটি ধরে তাঁর ডাক শুনি ।
পতন অবশ্য জানি অভিকর্ষ পথে
তুমিও পতনমুখী সমাজ আড়ালে,
সভ্যের সুগুপ্ত চালে মেলে চোরাবালি
সবই তো থোড়াই মানি , পাশে তুমিটা দাঁড়ালে ।
দেহের প্রচ্ছদে আঁকি মন-মোনালিসা
তুলির পেলব টানে প্রচ্ছদ আকুল
তুমি তো ঘাসের খোঁজে,অথবা কার্পাস
আমি যে ভেসেই চলি,ছাড়িয়ে দুকূল ।
যে ব্রীড়া, মোক্ষ চায় আমার ছোঁয়ায়
শিবের প্রেমের লোভে অপর্ণা সে নাম
সত্য সুন্দর বলে ফুল হয়ে ফোটে
আমার অব্যক্ত বাণী বিশ্বে জানালাম ।