বিদায় দাও গো আমায় চিরবিদায়, হে নিষ্ঠুর রাত !
অস্ফুট অভিমান আজ হয়েছে সাথী, ঝুলি ভরা অভিসম্পাত ।
টুকরো চাঁদের কুড়োনো আলোয়, শুষ্ক পত্রধ্বনি ;
এককোণে বসে অন্বেষণে, খুলি একান্ত বাসনায় –
শুভ কামনার মিশ্র পত্রখানি ।
জানি হে রাত আমি জানি, দিয়েছিলে কথা সেইদিন তক্ষনি ।
তোমার জন্য কত জাগা, শ্রমক্ষয়ে হতভাগা; বৃথা কি সে অবদান ?
আমি যে মানুষ । যাদের জন্য কতকিছু –
কত উঁচু নিচু পাহাড়ের গান !
যাদের জন্য স্বর্গ – নরক, আকাশ – বাতাস, পাতাল সড়ক
আরো আছে কত শত ঝরনার কলকলানির তান ;
স্বপ্নস্রোতে একলা কোন রাতে, একটু অবেলার খানিক হোঁচটে
কি করে হয় সব কম্পিত কাগজী বাগান ?
তুমি চাইলে করবো দান, কবিতার চরণে টেনে আনবো প্রাণ
তুমি চাইলে জাগবো আবার, ফুলে ফুলে তুলবো ভরে এ ফুলবাগান ।
শুধু পারব না পাখি হয়ে –
ভোরের ডানায় ছড়িয়ে দিতে তোমার ঐ লোলুপতার ঘ্রাণ ।
জানি হে রাত তুমি তবুও রবে, আঁধারে নীরবে; কখনো বা পূর্ণ মর্যাদায় ;
সরলতাকে নির্বোধ ভেবে হিস্যা তোমার সব করে নেবে ঠিক আদায় !
অগণিত পাতার ভিড়ে পরিণত বৃক্ষ ছেড়ে, ঝরলে একা; কি বা আসে যায় ?
বুকে প্রশ্নের বাণ, মানুষকে করে পশুজ্ঞান; আছো কি বেশ স্ব- মহিমায় ?
তাই তো বলি হে নিষ্ঠুর রাত,
তোমার লিপ্সাগুলি সব তোমাতেই যাক নিপাত !
নিঃস্বার্থের কোমল ছায়ায়, যদি নাও বা মেলে ঠাঁই
তবু এ মন আজ বারবার বলতে চায় –
বিদায় হে নিষ্ঠুর রাত , চিরবিদায় !!!