দুপুর যায় শান্ত পায়, রাধাপদ্ম পাতায় রোদের কিরণ চমক বাড়ায় !    
কেন যে বোঝনা, আমাতেই খোঁজনা এ প্রদৃপ্ত গালিচায়;    
আমার বাঁশীর সুর যদি সেখানে নাও বা পৌঁছায় –
আনমনে সোনার ঝুমকো কানে, তোমার রন্ধনশালায় ।  
কাজের ফাঁকে, একটু অবাকে নিছক শৈথিল্য তায়
গোপনে হৃদয় টানে আমার কথা যদি মনে পড়ে যায়,  
আসো না হয় যেমনি আছো, মলিন ভুজে ভেজা শাড়িটায়
নাই বা দেখলে মুখ শ্রী, আয়নাতে আজ পাদুকা হীনা পায়        
দেখব তো আমিই লুকোচুরি খেলাতে – বেলাভূমির ধূপছায়ায় !      

দুপুর ঢলে বিকেলের কোলে, গোধূলি ঢালে রং পড়ন্ত বেলায়
ফুল কুড়োতে আসবে না বাগানে – কি দেবে তবে সান্ধ্য প্রার্থনায় ?    
পাখির ডাকে শঙ্খ- ঢাকে, যায় যে দিবস জানিয়ে বিদায়      
আছি তো বসে দীঘিটা ঘেঁষে তোমাকে দেখার প্রগাঢ় আশায়;      
চোখ বুজলে প্রার্থনার ছলে, আমার ছবিই যদি ভেসে উঠে চমকায়!    
আসো না হয় যেমনি আছো, মেঝের ধূলি যদিও আঁচলে জড়ায় –
টিপ খচিত ললাটে, গৌর মুখ তল্লাটে সাজ কেন ফের এমন তাড়ায় ?      
দেখবো তো আমিই বিভোরে আঁধার ঘেরা দিঘী পাড়ে – চোখ ভরে অনিবার!          
তোমার সাথে তবে দেখা কি হবে আর এক বার ?  

                                            ( সমাপ্ত )




বিঃ দ্রঃ – [এই কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিরায়মানা’ কবিতা হইতে অনুপ্রাণিত । একটু বড় হওয়ায় দুই খণ্ডে প্রকাশ করছি।]