অবাক হয়ে ভাবি আজ এ চলন্ত ট্রেনে;
ঝুলন্ত মন নিয়ে দাঁড়িয়ে,
লোহিত সূর্যের ক্লান্ত আলোতে করব স্নান
হাত দু’ খানি বাড়িয়ে ।
গড়িয়ে পড়ছে তোমার কথার মুক্তো গুলো
খণ্ড স্মৃতির গণ্ডি ছাড়িয়ে,
পেয়েছিলাম যে খুঁজে সেদিন নিজেই নিজেকে
তোমার মাঝে হারিয়ে ।
হয়ত এখানেই ছিল আসন তোমার
জানালার ধারে দুপুর ঘেঁষা প্রহরে;
চুপচাপ চারিধার তবু কত শব্দ বাহার
একাধিক বগির মিশ্র বহরে !
তুমি চুপ আমি চুপ, কথা যেন বলছিল
তোমার নয়ন কৃষ্ণ গহ্বরে;
জাগলো রূপালি চাঁদ, এদিকে আমি উন্মাদ
পুরনো স্মৃতির উষ্ণ কদরে !
বলিষ্ঠ বাহু হায় ! দেয় না যে সায়;
মনাকাশে উদিত –
পরিপক্ক আবেগের মিলন মেলায়;
কেটেই তো গেলো কত শত দিন তবে
কেন এখনো সে রোজ রাত্রি জাগায় ?
তার তনুর সুরভি এখনো কেন এতো সুগভীর
কল্পনার কাল্পনিক পাতায় পাতায় ?
না বলে কেন শুধু রচে গিয়েছিলে ও সুভ্রূ
সুপ্ত গহীনের হৃদয় খাতায় ?
পাবো কি দেখা আর সে খোপা ভরা মল্লিকার ?
ভ্রমরের ভ্রমণ হবে সাধন, এপার না হয় ওপার ;
বুজবে দু’ চোখ শ্রান্ত পাখি, থাকবে খায়েশ কত যে বাকী !
জানবেনা কেউ ও বন্ধু সেদিন, আনবেনা বিদায় পালকি ।