কোন সন্ধি চুক্তি ছাড়াই হয়ে আছি বন্দী, এ ত্রিমাত্রিক জগতে;
অনুরণিত ঐকতানিকের বাতাবরণে পেতাম যদি –
বেদনাতুরভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত বালিয়াড়ি তীরে মেরুর বরফের সারি!
ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধার জলপ্রণালীতে সহ্যতা বিহীন চতুর্মাত্রিক অধিঘনক,
তবে সমুদ্রতীরের সফেন তরঙ্গপুঞ্জের মতো নেচে উঠতো সপ্তর্ষিমণ্ডল
আনবিক ঘড়িও তড়িঘড়ি করে পাল্টে নিতো সময় ।
তিমি – সঙ্গীতের মধুর কম্পাঙ্কে অঙ্কুরোদ্গম ধনাত্মক অন্তরায়
হয়ত আরো জোরালো করবে মহাকর্ষীয় বন্ধন
মিটমিট করে জ্বলা, লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্ররাজিদের ।
বাঁধাকপির পাতা যত্ন করে মুড়িয়ে আদি দূরবীন বানিয়ে
ঘুমিয়েছিল আদিম মানুষ সেদিন কতো স্বপ্নকে জাগিয়ে,
সেরকমই কতো স্বপ্নের ডিমে দিচ্ছি তা, দূরবীন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে...
হেরার দুর্গম সীমা টপকে, রাত্রির শিরদাঁড়াকে হারিয়ে
সূর্য সাম্রাজ্যের শেষ সীমানা ছাড়িয়ে উড়ে যাবে দৃষ্টির ভয়েজার
শূন্যের মহাসমুদ্র পেরিয়ে... ।
ইচ্ছে করে যৌবতী আলোর পেলব হাত ধরে ঘুরে আসি
মঙ্গল গ্রহের হিলিয়াম ভরা লোহিত রাজ্যে হতে,
লাল মেঘের পরশ কাটিয়ে ভিশনিয়াক গহ্বরের কেল্লায় পা রাখি!
আলো যদি রাজি নাও হয়, তবে বারুদের অনুকরণে তৈরি ঐ রকেটে চড়ে নয়;
ইস্! মাধ্যাকর্ষণের দেয়াল ভাঙতে যদি না লাগতো ঘণ্টায় পঁচিশ হাজার মাইল গতি!
যদি সেসময় বাতাসের ঘর্ষণ না দিতো মায়া জড়ানো প্রচুর তাপের ছ্যাঁকা;
তবে হয়তো দিতাম উড়াল নিজেই একা একা!
ঐকতানিক অনুপাতসমূহের অলঙ্কারে শোভিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে তাকিয়ে,
নতুন তো না এতো জানা কথা, পৃথিবী ঘোরে সূর্য নয়
তবু রোজ রোজ এখানে কেনো সূর্য ডোবে, আবার সকালে উদিতও হয় ?
জানি মানবে না কেউ হাত বাড়িয়ে, দূরবীন হাতে নিয়ে তবুও যে দাঁড়িয়ে...
( সমাপ্ত )
( শতভাগ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে এ কবিতা রচিত। কোনোভাবেই কারও ব্যাক্তিগত বিশ্বাসকে আঘাত বা আক্রমণ করা এ কবিতার উদ্দেশ্য নয়। )