পর্দার আস্তরণে হঠাৎ ঢেকে দিলো আকাশ, মাশরুম মেঘে
বিনা নোটিশে বজ্রপাত, পরপুরুষের অজুহাতে !
সর্পিলাকার অভিমানে গজলা হরিণের মতো চেয়ে থাকা
চেতনা হারিয়ে এমন ঘন বরষার প্রভাতে
অসহায় ক্ষণে জিজ্ঞাসু মনে দূরবীন হাতে দাঁড়িয়ে...
জানি না কেউ শুনছে কিনা তবু চিৎকার করি –
জ্যোতিষতত্ত্ব আর জ্যোতির্বিজ্ঞান কখনই এক নয়;
মনের বাঁকে বাঁকে তমসাচ্ছন্ন ঝাঁক
অবলোহিত আলোর তাপে যায় না অজানার অভিশাপ,
হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
সৌরজগৎ কে ভাসায় আলোর বন্যায়;
ফুরালে গ্যাস নিভে যাবে বাতি
কেঁদে মরুক যতই ভবঘুরে রাজকন্যায় ।
স্নায়বিক বৈকল্যের মেঘ কাটছে ঐ বিকিরিত গামার ধমকে
একটু আধটু পড়ছে দৃষ্টিতে রাতের উল্কাবৃষ্টি
যেন প্রাকৃতিক আতশবাজির প্রদর্শন, নভোমণ্ডলীয় বিনোদন;
শুক্রের হালকা হরিদ্রাভ মেঘমালা নজরে আসছে
গাঢ় হয়ে আসা দুগ্ধ ধবল অগ্নিশিখার মতো ।
বৃহস্পতির সীমানা দেখে চোখ ওঠে কপালে !
এতো বড়...? যেন এক হাজার পৃথিবী আঁটবে তাতে;
যদি বাস করা যেতো সেখানে, তাহলে হয়ত আশি দিনে নয়
ফিলিয়াস ফগ বিশ্ব ভ্রমণ করতেন আশি বছরে... !
মানমন্দিরে একাকী রাতের শেষাংশে, হঠাৎ বেজে উঠলো আইফোন
ধড়ফড় করে কাঁপলো মন, স্তব্ধতার আঁধার জড়িয়ে !
অনেক হলো, এবার দিনের আলোয় দেখবো তারা;
তাইতো কৌতূহলের আর্দ্রতা মাখানো একশ বারো মেগা পিক্সেলের
মরীচিকা মুক্ত দূরবীন হাতে দাঁড়িয়ে... ।
( চলবে )
( শতভাগ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে এ কবিতা রচিত। কোনোভাবেই কারও ব্যাক্তিগত বিশ্বাসকে আঘাত বা আক্রমণ করা এ কবিতার উদ্দেশ্য নয়। )