তুমি কাদের কে বলছো মানুষ ?
এমন দ্বিধা হীন কন্ঠনালিতে মমতা ভরে,
আলোকিত উঠান অন্ধকার করে
পায়রার খোপে বাকদক্ষতার পরশমণি পেয়ে
ছুটেছিল দিগ্বিদিক পূর্ণোদ্যমে ধেয়ে...
বুঝতে পারেনি আর সে জৌলুস!
মৃণ্ময়ের লুকোচুরিতে এসেছিলো হয়ত হাতেগোনা হুঁশ ।
দেখতে কি পাওনা? ঐ ওরা...
মনুষ্যত্ব হরণ করেছে মানুষ করার নামে
চিরমুক্তির উপঢৌকন ছড়িয়েছে অনুর্বর ধামে
জ্বলন্ত কয়লার জ্বলজ্বলে গুদামে,
শুধুমাত্র মানুষ করার নামে... ।
বাকচাতুরীর যে লাভা উদগীরিত হয়েছিলো সেদিন
উত্তাপ কমেনি তার এখনো বরং বেড়েছে প্রতিদিন,
ইন্দ্রিয়বিলাসী মেজাজ আর প্রশান্তির মূলোৎপাটনে
হয়ত হঠাৎ উদাসী মনে বোঝো নি সেদিন
বাস যোগ্য বসুমতীকে ধীরে ধীরে করে তুলেছে কঠিন!
বন্দনা গীতির শোভাকর নৌকা, সেও দেখি তলহীন
হয়ত বোঝো নি সেদিন...
অলংকৃত বেলুন কভারের আড়ালে মনুষ্যত্ব উদাসীন;
এদেরকেই আবার বলছো মানুষ, সংকোচহীন প্রণামে
অবাধ রক্তপাত যে পেয়েছে বৈধতার সনদ;
বাইরে ঘরে মুখোশে বেনামে,
শুধুমাত্র মানুষ করার নামে... ।