রুধির ধারায় হলো কলুষিত ধরা
এ হেন কাজ হয় নরপশুগণ দ্বারা।
নিজেরে করিতে পূর্ণ; অর্থ আর সম্পদে
আর নয়তো রোষের বশে,একে অন্যেরে বধে।
মনে নাহি ডর-ভয়,নাহি পরকালের ভাবনা
রুধির ধারায় করে হস্ত রঙিন,পায় পাশবিক সান্ত্বনা।
নিজ অপরাধ ঢাকিতে করে কতই ছলনা,
বাহিরে ধর্মের সাজ আর অন্তরে পাপের আস্তানা।
নতুন সূর্যোদয়ে কারো হয় জীবন উদ্ভাসিত
কারো বা জীবন হয় অন্ধকূপে নিমজ্জিত।
দিকে দিকে শোনা যায় নিপিড়ীতের হাহাকার,
নর হয়ে ও কারা করে এ হেন আচার?
নর নয় তারা পশু বটে হায়!
নররূপী পশুদের চেনা বড় দায়।
আজি এ সমাজে ধর্ষিত হয় কত নিরীহ নারী,শিশু
কারা সেই ধর্ষনকারী,কারা সেই নররূপী পশু?
তাহাদের চেনা বড় দায়,মানুষের মতোই দেখিতে
মানুষের মতোই যে দেখি চলিতে ফিরিতে।
সদা মনে ভয়,কখন কি হয়,
কোথায় যে নররূপী পশুগণ লুকায়িত রয়!
লোভ আর প্রবল কামনা-বাসনায় আচ্ছাদিত তারা
রুধির ধারায় করে কলুষিত,পবিত্র এ ধরা।
চাই,চাই সব নিজের করে,
নাহি পেলে,নিবে সব ক্ষমতা আর বলের জোরে।
কামনা,বাসনায় হইয়া মত্ত সেই নরপশুগণ
সমাজে ত্রাসের রাজ্য গড়িয়া ভাবে এইতো জীবন।
যদি তাহাদের জন্মদাত্রী মাতা জানিত
এ সন্তান হইবে কুখ্যাত
মাতা কি তাহাদের এ পৃথিবীর আলোক দেখাইতো,
মাতাসুলভ মমতা আদরে সঠিক শিক্ষা নাহি দিতো?
সেই নররূপী পশুগণ জন্মদাতা মানে কি,
তাহাদের রক্তের বন্ধন আছে কি?
জানিতে বড় সাধ হয়
তাহাদের রূপ কেনো মানুষের মতো হয়।