ষ্টেশনের চত্তরে মিষ্টি মধুর হাসি ঢেলে
সকল লোলুপ দৃষ্টি উপেক্ষা করে
যে মা তার শিশু মেয়েটির দিকে এগিয়েছিল
ঝঞ্ঝা ঝড়ের ঝুঁকি-ঝাপটায় রক্ষাকোল দিতে -
সেই করুণাময়ীর মুখে ছিল তখন
সর্বজয়ার স্নেহের রাশি।
রাতের পাপড়ির মত ঘুমন্ত মেয়েকে রেখে
যখন সে পাপীর ক্ষুধার অবসানে
নিজেকে নির্দ্বিধায় বিকিয়ে দিল
মেয়ের মুখে তুলে দিতে জীবন-মন্থিত লহু অমৃত ধারা –
তখন তার ক্লান্ত বিধ্বস্ত মুখে এল
প্রেরণার তৃপ্তির হাসি।
হিমজর্জর জীবনের অন্ধকার রাতে
যেদিন সে নিজের শেষ বসনটুকু বাজি রাখল
কুঁকড়ে ওঠা মেয়ের শিথিল প্রাণের স্পর্শকে
জিইয়ে রাখার কঠোর জুয়ায় জেতার তারনায় –
সেদিন তার দৃপ্ত মুখে দেখা দিল
যোগিনীর বিভব শশী।
সদ্যফোটা ফুলের মত আবরণ উন্মুক্ত মেয়েকে
হায়নার নিশ্চিত গ্রাস থেকে বাঁচাতে
উন্মাদ হাতের নির্মম নখরাঘাতে
যেদিন সে কিচকদের ঘৃণ্য চক্রান্তকে ছিন্নভিন্ন করেছিল –
সেদিন তার ক্রুদ্ধ মুখে মূর্ত হল
বরাভয়ের অসুরনাশি।