অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল
পুরনো আমলের বাতিঘরটা সারিয়ে নেব,
নিজের হাতে জমা ঘরের আবর্জনা পুড়িয়ে,
তেল চিট্চিটে চিমনির কাচকে ঝক্ঝকে করে মেজে
রঙিন বাহারি কাগজে মুড়িয়ে উঁচু অলিন্দে টাঙিয়ে রাখব-
পাকানো পলতের সাদামাটা আলো
জম্কালো হয়ে বহু দুর থেকে
জাহাজীদের চোখে পড়বে;
তোমরা ভাববে কোন মহd কর্মী
আঁধার রাতের ধাঁধা কাটিয়ে
অদৃশ্য আততায়ী কোন ডুবোপাহাড়ের
চোখ রাঙানিকে তুচ্ছ করে ওদের পথ দেখাচ্ছে।
আর আমি শুধু জানব
আমার চারিদিকে আছে নিশ্চিত নিরাপত্তার ঘের ,
যেখানে ডুবোপাহাড় আমার নাগাল পাবে না,
উঁচু উঁচু ঢেউগুলো শুধু তোমাদের
ভেসে থাকার আকাঙ্খাকে ধাক্কা মারবে;
আর আমার পিছনে থাকবে
পালিয়ে যাবার বিশ্বস্ত ডাঙা ;
তাই আমি মাঝ-দরিয়ার লড়াকুদের নেতা হয়ে
তোমাদের নিশ্চিন্ত ভরসা যোগাব।
আমি ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঝঞ্ঝা পাঠাব ,
কালো পাহাড়ের আড়ালে ঢাকা থাকবে
আমার গোপন ষড়যন্ত্রের ছায়া;
সামনে দেখা রঙিন আলোয় মুগ্ধ হয়ে
তোমরা ডিঙোতে থাকবে ভয়ের খাড়ি -
যদি বাঁচো গাইবে আমার জয় ,
যদি ডোবো - সকলে বুঝবে তোমাদেরই ভুল;
তাই তোমরা ভুলের মাসুল হিসাবে শহীদ হয়ে
আমার বাতিঘরের আলো কে আরো উজ্জ্বল করবে।