অধিকারের সীমার যে বাউন্ডারি টেনেছো।
তা টপকে অনেকটা দূর গিয়ে,
আমার কল্পনারা তোমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে।
আমার এলোমেলো, মন ভোলানো চিন্তাগুলো,
তোমাকে স্পর্শ করে ছত্রিশ উপায়ে।
আমার ভেতরেই থাকা একান্ত আমিটা,
স্বপ্নের মাঝে ডুব দিই " তুমি " নামক অস্তিত্বে।
তখন আমার গভীর থেকে একটা তাল,
বাজতে থাকে একঘেয়ে সুরে।
গম্ভীর মন্ত্রের ধ্বনির থেকেও গম্ভীরতর।
আর সাগর কিংবা পৃথিবীর থেকেও গভীর।
একটা কঠিন তাল.... যার নাম দিলাম " তুমি "।
তালটির সাথে ইনিয়েবিনিয়ে কতো সুর আমি মিশিয়ে দিতে চাই।
আমি খুব করে চাই তালটির আওয়াজ ক্ষীন হোক।
জানিনা তবুও কিভাবে,
মস্তিষ্কের প্রতিটি অসাধারণ সূক্ষ্ম কোষের সাথে লড়াই করেও।
তালটি বাজতে থাকে দ্রিমদ্রিম করে।
" তুমি " নামক এই তালের আর কিচ্ছু লাগে না।
সুর লাগে না, তান লাগে না।
বাজতে থাকে আপন তালে, আর!
আর আমাকে জানাতেই থাকে।
" আমি আছি, আমিই ছিলাম, আমিই থাকবো সকল আকুতি উপেক্ষা করে "।
আকুতিই বটে, তোমার এই তাল আমার মাঝে নিঃশব্দ করে দেওয়ার চরম আকুতি।
একটা তুচ্ছ পাথরকুচি গাছও অনেকটা স্বাধীন।
অথচ আমার এ মন!
" তুমি " নামক ভালোবাসার তালের অদৃশ্য বেড়িতে,
নিজ স্বত্তা, পুরনো রুপ, প্রিয় স্বাদ সব বদলে,
একটা জড়মানবে বদলে গেছে।
যার মাঝে শুধু তাল বাজে, সেই তালেই নাচে যে মানুষ।
গম্ভীর মন্ত্রের ধ্বনির থেকেও গম্ভীরতর।
আর সাগর কিংবা পৃথিবীর থেকেও গভীর।
একটা কঠিন তাল.... যার নাম দিলাম " তুমি "।