কোমর দুলিয়ে খেলে দোলে
তামার ঘণ্টা বাজে গলে।
দিবা কিংবা নিশীথ প্রহর
ফজর কিংবা জোহর
ট্রেনের হুইসেল দেওয়ার আগে কিংবা পরে
ট্রেন লাইনে সে যাই দৌড়ে।
জোরে জোরে হাতে তালি
সিগন্যাল সিগন্যাল মুখে বুলি।
এক সময়ের তুখোড় মেধাবী
চাকুরি না পেয়ে গম্য আবুধাবি।
নিয়মিত মাসে মাসে
হাজার হাজার টাকা আসে।
প্রিয় সহোদর কে করে বিশ্বাস
সব পাঠিয়ে তৃপ্ত নিশ্বাস।
চলছে জীবন বেশ
অর্থ কড়ি গড়ছে বিশেষ।
জায়গা জমি আর সুন্দর বালা-খানা
সব মানুষের চেনা জানা।
একদা সব হয় উন্মোচন
ভাইয়ের নামে সকল আয়োজন।
ধোঁকা পেয়ে শূন্য প্রবাসীর হস্ত
রোগে শোকে অভাব গ্রস্ত।
এখন সবার কাছে সে সিগন্যাল পাগল
ঠাট্টা তামাশায় মগ্ন সকল।
হঠাৎ একদিন প্রাতঃ ভোরে
সিগন্যাল সিগন্যাল সুরে
মাথা ঘুরে পড়ে যায় ট্রেন লাইনে
লাশটা টুকরা হয়ে মুণ্ড খানা কাশবনে।
(আমার শৈশবের একটি বাস্তব জীবন থেকে, স্হান- ভাতশালা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শৈশবে মা বাবার সাথে ভাতশালা অনেক বছর ছিলাম।)