খুব ভোরে আযানের ধ্বনি কানে ভেসে আসে
পৌষ মাসের সকাল চারিদিকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে
দু’একটা রিকসার বেলের শব্দ আর ভাসমান দিন মজুরের দল
কাঁধে কোদাল আর হাতে টুকরি একে অপরের সাথে আলাপ।
মহল্লার বেশীর ভাগ লোকজন এখনো ঘুম থেকে উঠেনি
ধরিত্রীর নিঃশব্দ তা এখনো কাটেনি কিন্তু ভাসমান দিন মজুর
নিত্যদিনের কাজ সময় মত না গেলে কোন কাজ পাবে না
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোন বাধায় তাদের বেঁধে রাখতে পারে না।
প্রতিদিন রোজগার না করলে উনুনে হাড়ি উঠবে না
তার জন্য বাড়িতে অপেক্ষায় আছে পরিবারের লোকজন
বাজার নিয়ে ফিরলে তবেই রান্নার তোড়জোড় শুরু হবে
তবুও হাসি খুশি মুখ গুলি মলিন হয়নি কষ্ট হাসি মুখে মেনে নেয়।
শীতের মৌসুম প্রতি রাতে ধর্মীয় সভা হর-হামেশা হচ্ছে
লোকজন থাকুক আর না থাকুক উচ্চ-স্বরে বয়ান মধ্যরাত পর্যন্ত চলে
কত টাকা পয়সা খরচ হচ্ছে তার কিন্তু সঠিক হিসাব নাই
ভেবে দেখুন একটা শ্রেণী শীতবস্ত্রর অভাবে আগুনের পাশে বসে
অনেক লোক না খেয়ে অর্ধ-পেটা খেয়ে দিন পার করছে।
কেউ তো খোঁজ রাখে না তবুও তারা নিষ্ঠার সাথে ধর্ম পালন করছে।