কে ওখানে, কে! কথা বলে না কেন ?
ভূতের মত দাঁড়িয়ে আছো,
কে ওখানে আশ্চর্য!
ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি লেবু গাছের
আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে সখিনা।
তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস!
কোন উত্তর না দিয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে
কিরে উত্তর দিস নে যে, কিছু হয়েছে ?
কোন সাড়া শব্দ নাই।
কাছে গিয়ে দেখি শরীরে ভিষন জ্বর
বাড়িতে না বলে এসেছিস বুঝি!
চল বাড়িতে চল।
সখিনা বক্সী দাদার মেয়ে মাস চারেক হলো
বিয়ে হয়েছে।
জানিনা কি কারণে বাপের বাড়ী চলে এসেছে!
শুনেছি শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভাল নয়।
চল তোকে বাড়ী নিয়ে যায়, রাতে এভাবে
কেউ চলে আসে! যদি কিছু হয়ে যেতো
হঠাৎ সখিনা বলে উঠে হতে কি বাকী আছে।
কি হয়েছে আমায় বল! তুমি শুনে কি করবে,
দেখি কি করা যায়, আগে তো বল কি হয়েছে ?
তুমি কি কখনো আমার কথা শুনতে চেয়েছো!
বাজে বকিস না, কি হয়েছে বল
শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা যৌতুকের টাকা না দিলে
আমাকে আর নিয়ে যাবে না।
বক্সী দাদা জানে, বাড়ী গিয়েছিলি ?
না তাহলে এখানে !,
কোন উপায় না পেয়ে এখানে এসেছি!
ওরা আমাকে বলে কান্না শুরু করলো।
মনটা কেমন করে উঠলো।
সখিনা লেখা পড়ায় ভাল ছিল,
বক্সী দাদা কে বলে ছিলাম,
লেখাপড়া করাও কে শুনে কার কথা
ক্লাস টেনে উঠতেই বিয়ে দিয়ে দিল!
বাংলাদেশে এ ধরনের সখিনাদের ভবিষ্যৎ কি ?
মনকে কিছুতেই শান্তনা দিতে না পেরে বাড়িতে
নিয়ে এলাম, এক প্রকার জোর করে।
বাড়ীর লোকের নানা কথা, অবশেষে বাড়িতে রেখে
এলাম।
এভাবে চলে গেলো বেশ কয়েক বছর
সখিনা এস এস সি ও এইচ এস সিতে ভাল ফলাফল করে
বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে!
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সখিনা ব্যাংকে চাকরী করে এখন, শ্বশুর বাড়ীর সাথে
আগেই সম্পর্ক শেষ করেছিল,
নতুন করে আবার সংসার হয়েছে, একটা বাচ্চা আছে।
হঠাৎ বক্সী দাদার সাথে দেখা, আমাকে দেখে বলল,
খোদা তোমাকে অনেক বড় করুক!