সোহেলীকে দেখলে কেমন যেন হতো
আমি পঞ্চম শ্রেণীতে ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েছি
ভাল মন্দ বুঝার কোন বয়স নয়।
প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে বিকেলে
খেলার মাঠে, ছেলে মেয়েরা একসাথে
আমরা খেলতাম, দাঁড়িয়ে বাঁধা, বদন,
বৌ-লুকানো ইত্যাদি।
ইচ্ছাকৃত সোহেলীর বিপরীত দলে থাকতাম
খেলার ছলে ছুঁয়ে দেখা, চোখে চোখ রাখা
ছোঁয়ার জন্য পিছে পিছে দৌড়ানো, তার হাসি
ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেয়া ইত্যাদি ভাল লাগত
এবং আনন্দ পেতাম।
রাজশাহীতে বড় ভাই’র চাকুরীর সুবাদে
সরকারী কোয়ার্টার থাকতাম, ভাই’র মেয়ে
মিনা সোহেলীকে পছন্দ করত না,
মিনা কখনো পড়া লেখায় ভাল ছিলনা!
করোনা পজেটিভ ঘরে বন্দি, অফিস নাই, হুম-
কোয়ারেন্টে আছি, একাকীত্ব তাড়া করে ফিরছে
টিভি দেখা, পত্রিকা পড়া ছাড়া অন্য কোন কাজ
নাই! হঠাৎ বাল্য স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠে।
সোহেলীর সাথে আর কখনও দেখা হয়নি,
সোহেলীর মনের চাওয়া জানা হয়নি কখনো
কিন্তু আমার ভাল লাগা গুলো মনের মাঝে মরে ছিল!
আজ মনে পড়ছে এটা কেই বুঝি অদৃশ্য প্রেম বলে!
(গত ২৯.০১.২২ইং তারিখ কবিতাটি লেখা)