তাহামণির অভিমান
★★★★★★★★★
(কবিতাটি আমার অবুঝ, অভিমানী আট বছরের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লেখা এবং তাকেই উৎসর্গ করছি। সোনা মনিকে ভুল বলে আমার দেশের বাইরে অবস্থান করা। সেই থেকে বাবার উপর তার অনেক রাগ। বড় ভুল করেছি মা আমার। আমি খুব পঁচা বাবা)
------------

আয়রে আমার তাহামণি, বাবার কাছে আয়
সেভাবে জড়িয়ে ধর, যেভাবে জড়াতি গলায়।
চোখে ভাসে যখন তুর মুখ, লাগেনা কিছু ভাল
কতদিন দেখিনা তুকে, অশ্রুতে ঝাপসা আলো।

ছবি দেখে মন ভরেনা, পড়েনা চোখের পলক
তাকিয়ে থাকি সোনা চোখে, মায়া মুখের ঝলক।
সারাটা দিন যায় তুকে দেখে, তবু তুই নেই পাশে
বিদেশের ঘড়িটা থেমে গেল, আমি আসার শেষে।

সময় হলে দরজা খোলে, দাঁড়িয়ে থাকতি চেয়ে
আজও কি থাকিস দাড়িয়ে, দরজা খুলে তাকিয়ে?
দেরি হলে পাততি আড়ি, লুকাতি মুখ আড়ালে
সোনা মুখে ফুটতো হাসি, টেনে বুকে জড়ালে।

মনটা ভীষণ কাঁদে রে মা, খুঁজি তুকে দিগ্বিদিক্‌
কত দুরে রেখেছি তুকে, জানিনা কেমন আছিস।
ফোন কলে কথা বললে, তুর মনটা থাকে ভার
আগের মতো হাসিটা নেই, সয়না মনটা আর।

কথা কম, বায়না নেই, আগে যা ছিল হাজার
তুর কষ্ট অনেক বড়, না জানিয়ে চলে আসার।
মাফ করে দে মা, ভুল আমার, ছাড় অভিমান
নিরুপায় হয়ে বলেছিলাম তুকে, যাচ্ছি চট্রগাম।

লেখা:- ২২/০২/২০২৪