সুখান্তি
*******

ধন-দৌলত, অর্থ-সম্পদ ও সম্পত্তি
সুখে ভালো থাকা যায় বৃত্ত-বৈভবে
ধনাঢ়্য মানে অপেক্ষাকৃত বেশি সম্মান
সাথে বাহ্যিক সুখ আর সুখী চেহারা
ঐশ্বর্য মানুষের রূল পালটে দেয়
আচরণে এনে দেয় প্রভুত্বের আধিপত্য।

সুখ ও শান্তির স্বাতন্ত্র্য নজরে অবরুদ্ধ
সুখ আপেক্ষিক সম্বন্ধীয় গ্রহণযোগ্যতা
বাহ্যিক সম্পর্কের তৃতীয় মাত্রা
যা ছাড়া জীবন বাচে, প্রাণে নিঃশ্বাস থাকে।
আর শান্তি হলো মনের স্থিতিশীলতা
এমন এক অনুভূতি যা মনকে রাখে প্রশান্ত।

সুখ সময়োচিত পূর্ণতার অনুভূতি
শান্তি স্থায়ী গম্ভীর মানসিক প্রশান্তি
ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-নিষিদ্ধ, যেমন-তেমন
যে কোন উপায়ে সুখ অর্জন করা যায়।
শান্তির জন্য প্রয়োজন গভীর অনুশীলন।
সুখের অভিমুখ সীমাহীন, অসীম দীঘল
ক্রমবর্ধমান সিড়ির মতো চলমান
আজীবন চললেও সে পথ ফুরায়না।

শান্তির অবস্থান স্থিতিশীল
পাওয়ার পরে আর কিছু নেই
সুখের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ব্যক্তির আচরণে
সাজ-সজ্জা, ভাব কিংবা চালচলনে
তবে শান্তির তেমন কোন প্রকাশ নেই
নিরব স্থিতিতে বসবাস মনের ঘরে
সর্বোচ্চ প্রকাশে থাকে তৃপ্তি দায়ক হাসি
মূল্যবান কিছু সহজে প্রকাশ্যে আসেনা।

সুখ কে অনায়াসে কেনা যায়
চাইলে খরিদ করে সুখী হতে পারে যে কেউ।
তাইতো সুখে’র নামে ‘সুখী’ স্বত্ত্বা ধারণ করে
সুখ নিজে খুব ব্যক্তিত্বহীন- অর্থ-বিত্তে পরাভূত।
কিন্তু শান্তিকে কেনা যায়না
তাইতো শান্তিতে কেউ থাকলেও
‘শান্তিনী’ নাম ধারণ করা হয়না ‘সুখী’র মতো ।
শান্তি চরম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন
সম্পদের উপর লোটায়না-
তাকে পেতে চাইলে তার উপর লোটাতে হয়
শান্তি কারও কাছে থাকেনা
‘শান্তি’তে’ থাকতে হয় বা ‘শান্তি প্রিয়’ হতে হয়।
।।।।।।।।।
জ্ঞাতব্য: সুখান্তি প্রকৃত কোন শব্দ নয়। ভাব থেকে নামকরণ।