শাশুড়ী চরিত্র
**********

যিনি মা তিনিই শাশুড়ি, একই মনে দ্বৈত নীতি
বউ আর মেয়ের মাঝে, রাখেনা সে সমান প্রীতি।
মায়ের মেয়ে যেমনই হোক, প্রশংসায় মা পঞ্চমুখ
রূপে গুণে বউ অনন্যা, শাশুড়ির চোখে পেত্নী ভূত।

মেয়ের খাওয়া দেখলে পরে, মায়ের মন খুশি
বউ যদি খায় দুটি রুটি, শাশুড়ির চলে তল্লাশি।
মেয়ে যদি পড়ে শর্টকাট, মায়ের আপত্তি নাই
বউয়ের ঘুমটা খাটো হলে, শাশুড়ি মুখে দগ্ধ ছাই।

মেয়েটা যদি বায়না ধরে, মায়ের মন তুষ্ট
বউটা যদি কথাও বলে, শাশুড়ি পায় কষ্ট।
কথায় কাজে অনেক দোষ, হলে ঘরের বউ
নিজের মেয়ে ধূর্ত হলেও, মায়ের কাছে মৌ।

মেয়ের গহনা মায়ের কাছে অনেক মূল্যবান
পুত্রবধূর নাকফুলেও শাশুড়ীর থাকে পিছুটান
নিজের মেয়ের অসুখ হলে, চিন্তায় মা ব্যস্ত
কাঁপুনি জ্বরে একটু শুলে, শাশুড়ীর মনে কষ্ট।

মেয়ের কথায় জামাই চলে, গৌরবে মা পাগল
বউয়ের কথা মানলে পরে, ছেলে বনে যায় ছাগল।
সকল মা এমন নয়, তবে আছে অনেক পরিবার
শাশুড়ি ভাবে সংসারেতে একাই তার অধিকার।

--------------------------
দ্রষ্টব্য: পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি অকৃতিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। উক্ত কবিতায় যতটুকু সমালোচনা করা হয়েছে তা শুধু শাশুড়ি চরিত্র কে, শ্রদ্ধেয় মাকে নয়; যদিও ব্যক্তি একজন।