পুত্রবধু - বৌমা
**********************
আমার পুত্রবধু- প্রীতি মর্যাদায় বৌমা
প্রণয়ে আমার ছেলের হাতে রাখে হাত।
কবে যে আমার ছেলেটা বড় হলো!
বিয়ে হলো; আগমনে দীপ্ত হল নিবাস।
ফুটন্ত কদমের তরে হাসনাহেনার ছায়া
যেন উত্তরের বারান্দায় দক্ষিণের হাওয়া।
প্রবল অনুভূতিতে অপ্রকাশিত নতুন কাব্য
শব্দহীন নুপুর পায়ে জ্যোসনা রাতের ফ্যারি।
চোখে এখনও দেখা হয়নি আমার
অদৃষ্ট অন্তরায়- আমি আর বিচিত্রতা।
দেখি বারবার অন্তর আত্মায় প্রতিক্ষণে
যেমনটি আমার মেয়েকে দেখি; না দেখায়
অহরহ কথা বলি প্রতিদিন; না বলা কথায়
অনুভব করি আমার রাজকণ্যাদের
যে আছে তাকে, চলে গেছে যে তাকেও
সকল বাবার মেয়েরা রাজকণ্যাই হয়
সে হোক আমার কিংবা অন্য বাবার।
মনের রূপকে দেখি আমার পূত্রবধুকে
কি যায় আসে চোখে দেখার তুষ্টিতে?
মায়ের মমতা যেমন ঘিরে থাকে দূর থেকে
তেমনি আমার স্নেহ বৌমা’র চতুর্দিকে
সত্য বটে বয়সের অসুখে দৃষ্টি কমে চোখে
মনের কোন অসুখ নেই যদি না হয় বিমুখ
আমার পুত্রবধু সেই মনের দেখায় দীপ্ত।
ক্লান্ত চোখে যখন দূরে তাকাই অপলকে
হঠাৎ ভেসে উঠে চিত্র মনের আয়নায়
উজ্জ্বল বর্ণের গোলাকার নির্মল মুখ খানি
নাকের গড়ন বেশ মানানসই রূপের দাবীতে
কৌতূহলী চোখে তাকিয়ে দেখে দূর থেকে
বিব্রত লজ্জায় হাসিমাখা মুখে সম্ভোধন;
বাবা, এখনো দেখা হলো না আমায়!
মেয়েকে বুঝি দেখতে ইচ্ছা করে না!
আনমনে হাত রাখি সোনা মণির মাথায়
হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে যায় বিলীনে
পরক্ষণেই ভাবি আমি স্বপ্নের যাযাবর।
দেখিব তোকে সেদিন যবে মুক্ত হবে গ্লানি
ক্লান্ত হবে অবসাদ, নিষ্প্রভ হবে বিষন্নতা
নষ্ট মনগুলো যেদিন ফিরে পাবে বিবেক
দেখিবো তোকে নয়ন ভরে বাড়ির আঙ্গিনায়
তুই আমার হাসনাহেনা যেমনটি আমার মেয়ে
আমার রাজমহিষী দাঁড়িয়ে রবি ঠিক ঠায়
বিশ্বাস রাখ উপরে, অশ্রু গড়াবেনা তুর চোখে
মুছে দেব চোখের বালি বাবার স্নেহের পরশে।
--------------------------
লেখা: ২৮.১২.২০২৩ ইং,
সময়: রাত ০২ টা ২৩ মিনিট