নারী-পুরুষের ভালবাসা
–--------------------
ব্যক্তির ভালবাসা ব্যক্তিত্বেই সুন্দর
পশুর মত হলে তা ঠিক মানায় না।
লজ্জা, সততা ও শিষ্টতা ব্যক্তিত্বের অন্তঃকরণ
বিশুদ্ধ ব্যক্তির ভালবাসা যেন শুচির সৌরভ।
নারী ব্যক্তিত্বের অলংকার বায়না ও ব্যকুলতা
যে নারীর বায়না বেশি, তার ভালবাসাও বেশি
ব্যকুলতায় নারী প্রামাণ করে তার দায়িত্ববোধ
খুনসুটি ও অভিমান নারীর সৌন্দর্য ও মাধুর্য।
পুরুষ মানুষের ভালোবাসা স্বভাব-সুলভ
দৃঢ়তা, প্রকাশহীনতাই যেন পুরুষের ব্যক্তিত্ব
নারীর মতো আবেগী হয়না পুরুষের ভালবাসা
পুরুষ মানেই আপোষ, বোঝাপড়ার মানদন্ড
কর্তব্য আর দায়িত্বের মাঝেই পুরুষের ভালবাসা
যে পুরুষ যত দায়িত্ববান, তার ভালবাসা ততো বেশি।
কঠোরতার মাঝেই পরুষের ভালবাসা প্রকাশ পায়
পুরুষকে বুঝতে হলে অনেক ভেতরে চিনতে হয়।
নারীর জীবনে পছন্দের পুরুষ একজনই হয়
প্রয়োজনে অভিনয় করতে হয় অনেকের সাথে
পুরুষ মানুষের পছন্দের নারী অনেকেই হয়
কিন্তু ভালোবাসার কারণ সব নারী হতে পারেনা
পুরুষের সৌন্দর্য তার অর্থ ও ব্যস্ততায় নিহিত
নারীর সৌন্দর্য ফোটে তার পুরুষকে ব্যস্ত রাখায়।
কোমল স্বভাব-সুলভ নারীর ভালবাসা কোমল
সোহাগে, আদরে, যত্নে ভরে দেয় পুরুষের জীবন
কিন্তু নারীর প্রতি পুরুষের যত্ন ভয়ংকর সুন্দর
জীবন ক্ষান্তিতেও পছন্দের নারীর যত্ন ফুরায়না
মরণের পরেও যত্নে রাখে তার স্বত্বের সদৃশ্যে
সে নারী অনন্যা যে বুঝতে পারে পুরুষের মন
যে পুরুষ পেয়েছে নারীর কোমলতা, সেই শ্রেষ্ঠ।
----------------
(কবিতাটি নারী বা পুরুষ কাউকে ছোট বা হেও প্রতিপন্ন করার জন্য রচিত হয়নি। নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান অধিকার রাখে। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তারা শ্রদ্ধেয় মহিমান্বিত। পারিবারিক ও সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে কবিতাটি রচিত হয়েছে)