মৃত্যু
*********************

মৃত্যু মানে জীবনের সমাপ্তি
যার পর আর কিছু নেই।
মৃত্যু মানে কর্মকান্ডের স্তবিরতা
পাপ-পূণ্য যতটুকু, স্থির ততটুকুতেই।
মৃত্যু মানে চুড়ান্তভাবে চলে যাওয়া
যার পর কোথাও যাওয়ার ঠাঁই নেই।
মৃত্যু মানে জীবের চুড়ান্ত অবস্থান
যার পর অবস্থানের পরিবর্তন নেই।

জীবন মানেই মৃত্যু অবধারিত
বিকল শ্বাসযন্ত্র- দমশূন্য পড়ে থাকা
হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া নেই- রক্ত কণিকা স্থির
নাড়ি চলেনা, চোখে পলক নেই, দেহ স্মিমিত
নিথর মস্তিষ্ক বোধশূন্য- অবচেতন প্রতিটি অবয়ব।
উষ্ণ রক্তের তেজ মূহুর্তেই নিপাতিত
নিত্য দিনের যত্ন করা মুখমন্ডল সমেত দেহ
কয়েক মিনিটেই ফ্যাকাশে, বিবর্তনে বিবর্ণ।
যে হাতে ইশারা ছিল, ছিল ভালবাসার ছোয়া
মুখে কথা ছিল, চোখে ছিল মায়া ভরা চাহুনি
মুহুর্তে সব নিথর হয়ে পড়ে থাকা কঠোরতায়
সবকিছু স্থির, অবসন্ন, অকেজো, শক্তিহীন।

কদিন পরে পচন ধরে সাধের মায়ার দেহে
যেখানে রাখে সেখানেই বিরক্তিকর দুর্গন্ধ
তাইতো পুড়ে আগুনে, না হয় রাখে মাটি চাপায়
পঁচে গলে শেষ হয়ে যায়, পড়ে থাকে কঙ্কাল
সাদা-কালো, ধর্ম-জাত কোন বিবেদ নেই
সব দেহই বিষাক্ত পোকা ও কীটপতঙ্গের খাবার।

মৃত্যু মানে সকল পরিচয়ের চিরবিদায়
কখনো আর কারো সাথে দেখা নেই?
মায়ের মমতা নেই, বাবার আদর নেই
ভালোবেসে যত্নে রাখা স্বামী-স্ত্রীর কথা নেই
সন্তানের মা-বাবা বলে সম্বোধন নেই, বায়না নেই
বন্ধুর রাগ নেই, স্বজনের কোলাহল নেই
কিছু নে’য়ার নেই, কাউকে কিছু দে’য়ারও নেই।
যাওয়ার কোন জায়গা নেই; ফিরে আসারও উপায় নেই
কেও নেই, কিচ্ছু নেই, শুধু একা
রবে কোথায়?- তাও জানা নেই।


–-----------------------------
লেখা- ২৭.০৮.২০২৪ ইং