মা-বাবা চরিত্র
*********

যতসব শ্রেষ্ঠ পাওয়া মানুষের জীবনে থাকে
সন্তান হলো অন্যতম সকল মা-বাবা’র কাছে।
বিশ্ব ভ্রমান্ড পর হয়ে যায় সন্তানের ভালবাসায়
মাটিতে রাখেনা পিঁপড়ার ভয়ে, উকুনের ভয়ে মাথায়।

রাখে বুকে যতন করে স্বার্থহীন ভালবাসায়
উহ শব্দ করলেও পরে চমকে ফিরে তাকায়।
বুঝতে পারে সকল চাওয়া না চাইলেও মুখে
সামর্থ্য হলে বিশ্ব কিনে, অক্ষমতায় রয় আপসোসে।

পুরোটা জীবন কল্যাণ কামনায় থাকে সদা ব্যস্ত
প্রকাশে নেই নীজের ব্যথা যদি সন্তান পায় কষ্ট।
নীজ খাবার তুলে রাখে যদি হাড়িতে থাকে কম
একটু অসুখ হলেই পরে পাশে বসে রয় সারাক্ষণ।

দামী জুতা, দামী কাপড় সন্তানের জন্যই আসে
সেলাই জামা ছিড়ে গেলেও তাদেরটা পরের মাসে।
মাসের পর বছর গেলেও পরের মাস আর আসেনা
চিন্তা নিয়ে অপেক্ষা করে যদি থাকে সন্তানের বায়না।

দুঃসময় যদি আসে কভূ সন্তানকে না বুঝায়
কষ্ট নিয়েও হাসি মুখে তাদের দিকেই তাকায়।
স্বার্থহীন বলে যদি কিছু থাকে তা হলো বাব-মা
সবাই সবার বিনিময় খোঁজে তারাই শধু খোঁজে না।

বাবা-মা'য়ের সাথে যে সম্পর্ক দ্বিতীয়টা আর নাই
কালে ভদ্রে ছিন্ন হলেও আড়ালে কাঁদে মা-বাবা'য়
ব্যক্তি হিসেবে মন্দ হলেও মা-বাবা চরিত্রে শুদ্ধ
একটু রাগ করেলও পরে করোনা তাদের ক্ষুব্ধ।