যুগলবন্দী ভারত-বাংলাদেশ
*****************

উদারতার প্রশস্ত পাঁজর তোমার
বিস্তৃত তোমার বক্ষ, উন্নত তোমার চিত্ত  
তুমি সহায়ক একাত্তরের স্বাধীনতার
বহু কালের পরীক্ষিত বন্ধু-স্বজন তুমি
তুমি ভারত- শুদ্ধ চেতনার গণতন্ত্র
পরম সুহৃদ আপামর বাংলাদেশের
যেমন রেখেছ বন্ধুত্বের বন্ধনে দিল্লি
তেমনি ভ্রাতৃত্বের ওপার বাংলার কলকাতা।
যেমন ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, বাজপেয়ী
তেমনি মনমোহন সিং কিংবা নরেন্দ্র মোদী
শ্রদ্ধেয়জন সংকীর্ণতাশূন্য বাংলার হিতৈষী।

লজ্জিত আমি বাংলা এক বিমূঢ় গমনে  
বিব্রত করেছে তোমায় উভয় সংকটে
এক স্বৈরশাসনের স্বৈরাচারীর অবস্থানে
দ্বিধাগ্রস্ত তোমার উন্নত নীতি বিশ্ব দরবারে
সিদ্ধান্তে তুমি বিব্রত, ছেড়ে দিতেও কুন্ঠিত
বন্ধু বলে তাড়াতে পারো না অবমাননায়
একদিকে মানবতা, অন্যদিকে রাষ্ট্রনীতি
এক মহাযজ্ঞের মহা দ্বন্দ্বে তুমি উপনীত।
ক্ষমা কর, এ বিভ্রান্তি কোন জাতিগত নয়
নিতান্ত ব্যক্তিগত, যিনি বৈষম্যের কারিগর
যার দাম্ভিকতায় নিষ্পেষিত ছাত্র-জনতা
স্বভাবসিদ্ধ লজ্জিত আজ বঙ্গবন্ধু পরপারে
অপমানিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা
পালিয়েছে পাপিষ্ঠ স্বৈরাচার অগোচরে
আশ্রিত হয়েছে তোমার পূণ্য ঠায়ে
অপারক আমি সোনার বাংলা এ সংশয়ে।

বাংলাদেশের ইন্দ্রিয়লব্ধে তুমি হৃদ্য মহত্ত্ব
ব্যক্তি স্বার্থ তোমার সীমাবদ্ধতা নয়, ঠুনকো
একাত্তরে তুমি ছিলে বাংলার উদার সহায়
দিয়েছো খাদ্য, দিয়েছো আশ্রয় অকাতরে
বাড়িয়েছ হাত বাংলার স্বাধীনতা লব্ধে
নির্দ্বিধায় অস্ত্র ধরেছ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে
সাহস যুগিয়েছো শিকল মুক্ত পরাধীনতার  
তোমার চেতনার বিশ্বাসে অবিচল সমগ্র জনতা
তুমি কোন ব্যক্তির নও, তুমি বন্ধু বাংলাদেশের।

নিন্দুকের বুলি- “বাঙালি ভারত বিরোধী”
মিথ্যায় সাজানো নিন্দিত অপ্রীতি অপপ্রচার
হৃদ্য বন্ধনে বহু যুগের বহু কালের সাক্ষী মোরা
একই নদীতে স্নান, একই ধারার গান, সংস্কৃতি
সব উৎসবে মেতে ওঠা সবাই একই সাথে
একই ক্ষেতের ধানে নবান্নের উৎসবে মুখর
এ যেন ভিন্ন ভূখণ্ডে একীভূত পরিবার।
তুমি আমি যুগলবন্দী স্বার্থহীন পারস্পরের
আস্থা রাখে বাংলাদেশ তোমার সিদ্ধান্তের
তোমার বুকে আশ্র‍য় হবেনা কোন স্বৈরাচারের।

…………..............
১০/০৮/২০২৪ ইং