বিড়াল
*****

প্রতিক্রিয়াশীল দৃঢ় নমনীয় দেহের গড়ন
তীক্ষ্ণ দাঁতের সঙ্কোচনীয় থাবার আচরণ
পোষ্য চরিত্র ক্ষুদ্র শিকারে বেশ পারদর্শী
নৈশদৃষ্টি ও ঘ্রাণশক্তিতে খুব প্রখর শক্তি।

মিয়াও, গরগর ও গোঁগোঁ কন্ঠের স্বভাব
শরীরী ভাষাও দেখায় যখন জাগে কুভাব।
শিকারী মনা হয়েও এরা বেশ সামাজিক
ভোর ও সন্ধ্যায় থাকে সক্রিয় সর্বাধিক।

স্বল্প আলোয় দেখতে পারে বিড়াল প্রজাতি
পেটে যদি খাবার থাকে করেনা কোন ক্ষতি।
শিকারী হয়ে আনন্দ খেলায় বিড়াল মন্দ নয়
প্রাচীন মিশরে সর্বপ্রথম গৃহপালন সূচনা হয়।

ঘর ও খামারের বিড়াল মানুষকে ভালবাসে
বনবিড়াল আসেনা কভূ পরিসীমার মাঝে।
পোষ্য বিড়াল ভাষা বুঝে প্রখর অনুভূতি
বিড়াল পালণ পুণ্যের কাজ আছে সম্মতি।

=================
লেখা: ২৭/১২/২০২২ ইং, ঢাকা।