বধু চরিত্র
*******

পত্নী বড় অমূল্য সম্পদ সুখ-শান্তি’র খনি
বোধ, বিশ্বাস, প্রেম বিলিয়ে হয় অর্ধাঙ্গিনী।
আসে ঘরে বাধন ছেড়ে ভূলে যায় তার অতীত
বাবা মাকে পর বানিয়ে মন করে দেয় পতিত।

ভাবলে পরে অবাক লাগে একটি মেয়ের জীবন
অচেনা ঘর আপন করে পরিচয় দেয় বিসর্জন।
বাবা মায়ের চোখের মণি অনেক আদরে লালন
রীতির ছলে বিদায় দেয়া বড় কষ্টের কর্তব্য পালন

অচেনা বাড়ী অপরিচিত জন তবুও নয় পর
কান্নার মাঝে হাসিতে বুঝায় এটাই আপন ঘর।
শশুর-শাশুড়ী, ননদ-দেবর সব অপরিচিত রয়
বরটাও নতুন মানুষ যদি না থাকে পূর্ব পরিচয়।

দায়িত্বের বোঝা চাপে ঘাড়ে ঘর গোছানো ও রান্না
সকলের ডাঁট সহ্য করে যে ছিল সোহাগী কণ্যা।
রাগ, খোটা সবিনয়ে সহে যে যাই বলে যেমন
ছোট্ট থেকে মা বলেছে মেয়েদের জীনব এমন।

স্বপ্নের স্বামী, কল্পনার ঘর বেহেশত মনে করে
প্রথম দিকে নরক হলেও কিছুটা লাঘব পরে।
স্বামী যদি আপন মনে আগলে রাখতে চায়
দিনশেষে মনের কষ্ট মূহুর্তেই সে ভূলে যায়।

নারী মহৎ, নারী উদার, নারীই সুখের মূল
নীজ বধুকে অসম্মানে রাখা সর্বপ্রধান ভূল।
সত্য নারী সদা সত্য বধু নিয়ামত কিংবা দেবী
অবহেলায় রাখলে তারে হারাতে হবে সবই।

-------------০-----------