বাংলা মায়ের হুংকার
*************

অশ্রুসিক্ত মায়ের মনের শঙ্কিত আবাস
ব্যাকুলতার বিলাপে হারানোর সুর
ক্রন্দনে বলে- ‘আমি ভালো নেই রে বেটা!
আবার অস্ত্রোপচার কেন আমার বুকে?
কি অসুখ বাধিল আমার হৃৎপিণ্ডে?
নির্মূলে এত কষ্ট, রক্তক্ষরণ পালাক্রমে
আর কত? কত সাগর রক্ত বহাবো আমি?

বুলেটে ঝাঝরা হওয়া বুকে আজও ব্যথা
ঢাকা, মোমেনশাহী, নরসিংদী, চট্টগ্রাম
চৌষট্টি টি সন্তান আমার গর্ভে ধারণ  
রক্তস্রোতে জন্ম দিয়েছি সীমাহীন ব্যথায়
অসীম সাহসে যন্ত্রণার বিমূর্ততায়।
বায়ান্ন, একাত্তুরের ক্ষত এখনো আমার গায়ে
বুলেটের ছেদে এখনো শরীরে বিষ ব্যথা
একই ক্ষতে আবার বুলেট, আবার রক্ত
আর কত? কত সইবো আমি?
একাত্তরের পর কেন দু’হাজার চব্বিশ?

আমি চাইনা তোদের মত রক্ষক
তুরা নির্মম, তুরা বীভৎস, তুরা ভক্ষক
আমার বুকে দাঁড়িয়ে আমার সন্তানের মাথায় গুলি
তুরা পাষাণ, তুরা সীমার, তুরা নমরুদ
মিথ্যা আর অভিনয়ের অশ্রুতে জগন্য জালিম
লিপ্সা আর লালসায় তুদের মগজে পোকা
আমি মা, আমি বাংলার মাটি
অসীম সাহসে পুড়িয়ে ফেলি ঘৃণ্য চক্রান্তের ঘাটি
সরে দাঁড়া, পালাতে পারিস যদি পালা!
দৌড়ে পালা, পিছনে না তাকিয়ে সোজা পালা  
দম ফাটার আগে রুদ্ধশ্বাসের গর্জনে
ছিটকে পড়বি জনতার ভিড়ে, গণঅভ্যুত্থানে  
কুকুরের মতো পালাবি তখন কাপড় খুলে।

আমার ইতিহাস জানে সকলে, জানে বিশ্ব
মানিনা অন্যায়, রক্ত যবে ঢেলেছি বৃথা যায়নি কভু
দুঃশাসনের বহু স্বৈরাচার দূর করেছি ঝাঁটিয়ে
রাজপথের গর্জনে করব হয়েছে হুংকারের
তোদের পতন হবে, হতেই হবে আজ অথবা কাল
যেতে হবেই, দাড়াতে হবে জনতার আদালতে
আমার সন্তানেরা অভ্যুত্থানে, নৈকট্যে সূর্য উদয়
কে তুই দালাল আমাকে রাখবি দত্তক করে?
আমি বাংলাদেশ, আমি জাগ্রত চিরকাল
মাটি, রক্তাক্ত জনতা, দাবী- জাগ্রত বাংলা মা।