অ-সম্পর্ক
***********
দেওয়া-পাওনার হিসাব খুব জটিল
পরিমাপের একক নেই সম্পাদনের
দুপাশে দুইটি স্থাপনের পাত্র থাকলেও
সমতা পরখ করার কোন দন্ড নেই
ঠিক যেন পানির নিচে নিশ্বাস নে’য়া।
সবটুকু দিয়েও যাকে পাওয়া যায়না
তাকে আর কিছু না দেয়াটাই শুভ।
সর্বত্র খোজেও যাকে দেখা যায়না
তাকে আর তালাস না কিরাটাই উত্তম।
যে মানুষ কাছে থেকেও অচেনা হয়ে যায়
তাকে আর চেনার চেষ্টা করে লাভ হয় না।
দেওয়া-পাওয়া সম্পর্ককে জম্ন দেয় না
সম্পর্কের মাঝেই দেওয়া-পাওয়ার জম্ন হয়।
না পাওয়ায় যে মানুষটি সরে যায় অবহেলায়
কথা বন্ধ করে, ফোন কল গ্রহণ করে না
ম্যাসেজ পড়েও নির্বিকার জবাব দেয় না
তার কাছ থেকে আর কিছু আশা না করাই ভাল
বুঝে নিতে হয় সময় পালটে গেছে
দেওয়ার ব্যর্থতায় পাওনাতে ঘাটতি পরেছে
এটা সম্পর্কের ব্যর্থতা নয়;
কারণ সম্পর্কটা গড়েই উঠেনি।
সম্পর্ক শুধু সম্পর্কের মাত্রা বহনকারী নয়
সম্পর্ক মানে দায়িত্ব, ভালবাসা, সহযোগিতা।
না পাওয়ার অজুহাতে যে দরজা বন্ধ হয়ে যায়
বার বার কড়া নাড়ালেও যা খোলে না
সেই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে না থাকাই শ্রেয়
সম্পর্কের মাঝে দরজা বন্ধ হয়না
বরং খোলা দরজায় অপেক্ষায় থাকে
মানুষটি কখন আসবে কাছে, তার অপেক্ষায়।
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলায়
পরিস্থিতির গ্রহণযোগ্যতায় মানুষও বদলে যায়
তবে কোন সম্পর্ক যদি বলদে যায়
তাতে সময় বা পরিস্থিতি দোষী নয়
দোষটা ছিল সম্পর্ক বরণকারীদের
সম্পর্ক খুব সহজেই তৈরী করা যায়
বহণ করা তীব্র স্রোতের উল্টো সাতার কাটা।
প্রতিকূলে নিজেকে ধরে রাখার অবলম্বন নীজেই।
।।।।।।।।।।।