বুলেটের পেছনে
লেখা হয় প্রেয়সীর নাম।
চাপা ট্রিগারের সাথে সময় মিলিয়ে
কিছু ধোঁয়া সহাস্যে সহসাই হারায় কুয়াশায়।
শীতল রাতে দেয়াল কিছুটা ছোঁয়া পায় উষ্ণতার।

চড়ুই দিশেহারা।
তার চিৎকারে ভাঙে কাঁটাতার।
বুলেটের আগে ছুটে চলে প্রহরী।
ছাপ্পর খুঁজে পাসপোর্টের পৃষ্ঠায়।

সীমানা ঘেঁষে হাট বসেছে।
মগজের পসরা নিয়ে দোকানী সেজেছেন
বুদ্ধিজীবী সমাজের কতিপয় আঁতেল প্রতিনিধি।
দুর্গন্ধ ছড়ানো সে হাট থেকে
সস্তায় কিনে নিন তাঁবেদার মগজ।

আর,
প্রেয়সীর খাটে প্রলয়নৃত্য করে হায়েনারা।
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করা হয় মাংসপিণ্ড।
দেয়ালের গায়ে জড়িয়ে আছে উষ্ণতর রক্ত।
বুলেট ছুটে গেছে চড়ুইয়ের বুকে এবার।

অদ্ভুত কামাতুর মৃত্যুদূত!

যে কবিতা কখনো ঠাঁই পাবেনা জীবনীখাতায়,
সেই কবিতা উচ্চকন্ঠে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে
ঈশ্বরের বিরুদ্ধে।
শ্লোগানে প্রকম্পিত স্বর্গ থেকে
অপ্সরীর হর্ষধ্বনী জানিয়েছে,
সমস্ত মেরুদন্ডই বিক্রি হয়ে গেছে।
নিলামে। খুবই সস্তায়।

১২৪৫/৭১২১৬