একদিন বিকেলটাও তুমিময় হবে।
আত্মহুতি দেয়া পত্র পল্লবেরা শঙ্খধ্বনীতে
মাতাল করে তুলবে চতুর্দিক।
একদিন গোধূলীতে আমরা
হাতে হাত রেখে হেঁটে চলে যাব অস্তপারের সীমারেখায়।
যেখানে বন্দুক ঘাড়ে নিয়ে ছুটে চলা কোন
প্রহরী নেই।
যেখানে নেই কোন কাঁটাতারের সীমানাপ্রাচীর।
বুট ঠুকে কেউ থামিয়ে পাসপোর্ট ভিসা চাইবেনা।
একদিন,
পুরোটা রাত আমাদের জন্য বরাদ্দ করে দিবে মহাকাল।
জোছনার গুণগুণ গাওয়ার সাথে
ঝিঁঝিঁপোকারাও গলা ছাড়বে।
মৃদু কুয়াশায় তোমার মুখাবয়ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
পাগলপ্রায় নক্ষত্ররাজি বাজি ধরবে।
তুমি দেখে নিও,
একটি ঘাসফুল কিভাবে অধীর আগ্রহ নিয়ে
তোমার পথপানে চেয়ে শেষঘুমে গিয়েছে।
একটি চড়ুই দোয়েলকে বলেছিল ভালোবাসার গান শোনাতে।
নিঃসঙ্গ তালগাছের ডাকে মোহ ভাঙে আমার।চতুর্পাশ বিদীর্ণ করা হাহাকারে
একবুক উত্তপ্ত সাহারা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
আকাঙ্ক্ষিত বিকেল মরে গেছে।
শেষকৃত্য হয়নি।