খাচাবদ্ধ হয়েছে
খেচর মন।
ঘুঘুর ডানায় চড়ে এখন আর
নিশুতি রাতে আসেনা।
রাস্তার পাশে খুঁটি থেকে নিংড়ে বের হয়ে আসে
সাদাবাতির আলো।
ঝিঁঝিঁপোকাগুলো বিলীন করে দিয়েছে
নিজেদের অস্তিত্ব।
দিনরাত মোটরযানের আওয়াজ জানায়
দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা।
বাবুইয়ের দোল খাওয়া কি
সেই গতিতে পিষ্ট হয়ে গেছে?
জানতে ইচ্ছে করে খুব।
কাককালো জলভরা নদী দেখার সৌভাগ্য
হয়নি। টলমলে জল নেই কোথাও তবু
জলের রঙ দেখে নির্দ্বিধায় কাক বলেঃ
আমি ঢের ফর্সা আছি।
আঁধারের মাঝে যখন সমস্ত
কোলাহল ডুব দিতে যায়,
একটা কোকিল ভীষণ ব্যাস্ত হয়ে পড়ে
সঙ্গিনীর খোঁজে। ডাকে কুহুসুরে।
খুব তাড়া আছে তার।
ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে
নবজীবনের সঞ্চারের অমোঘ দায়িত্ব নিয়ে সে এসেছে
বসন্তের প্রভাতে।
যে প্রভাত ঠাই নিয়েছে
রাতের নির্জন প্রহরে।
মশককীট তার কাজে আপনমনে ব্যাস্ত।
আর ব্যাস্ত
নগরজীবন, গভীর ঘুমে ক্লান্ত হয়ে।
ব্যাস্ততা নেই কেবল
রাস্তায় কালো পিচের।
কখনো
আমি বক্তা
সে শ্রোতা
আবার
কখনও
সে বক্তা
আমি শ্রোতা
হওয়ার ভান করে যাই
ঘুম চোখে লালন করি
অজানা, অচেনা চাওয়াগুলোকে।
সূর্য আসবে
আলো দেখাতে।
৩.৩৬.২৯.৩.১৫