আমি
কখনও তোর কবি হতে পারিনি।
হয়তোবা চাইনি হতে।
ছন্দের মালা গেঁথে একের পর এক
তোর গলায় পরিয়ে দিই
কিংবা
তোর খোঁপায় ঝাঁক বেঁধে নৃত্য করুক
জোনাকপোকারা তাল লয়ে
তোর চাওয়া ছিল আমার কবিতায়।
বরাবরের মতই
তোর প্রাণের ক্ষীণ আশাকে চূর্ণ
করে দিয়ে স্টীম রোলার চলে গেছে
গদ্যভাবে।
তোর দেয়া ডায়রির পাতা ছিড়ে
রোজ সিগারেটের মাথায়
আগুন জ্বালি নীলাভ ধোঁয়ার কুন্ডুলী
বাতাসে ছড়িয়ে দিতে।
কোত্থেকে যেন অশ্রুফোঁটা এসে পড়ে
সে আগুনে।
গুমরে উঠে আগুনটা।
বোবা চিত্কার কানের কাছে এসেও
ঘুরে চলে যায় সীমাহীনতার পথে।
তোর কবি হতে পারিনি।
তাই ছন্দরা ক্রমাগত বিক্ষোভ মিছিলে
বিদীর্ণ করে দিয়ে যায় এ বুক।
টকটকে লাল চোখ যখন
আয়নায় দেখি
তখন জানার চেষ্টা করি
এটা কি আমার ক্ষোভ?
নাকি হতাশা?