লেগেছে বিহান, সবুজ গাছের পাতায়
ধরেছে বিহান ,কোকিল পাখির গান
কোথা হতে শুনি , প্রকৃতি জননী
করে বসন্ত দান ।
রং লাগিয়াছে ধূলার আবিরে ,হাসি উঠিয়াছে নদে,
ব্যোম সাজিয়াছে মেঘের সজ্জা, প্রীতি লাগিয়াছে হ্রদে।
হৃদয় শুনিছে মনের গনিত ,
বিদায় নিয়েছে প্রবল শীত।
তৃণের আকাশে ঘাস ফুলগুলি,হয়েছে ক্ষুদ্র-তারা,
বিস্তৃত মাঠে রাখাল চেঁচিয়ে,পেয়েছে অজানা সাড়া ।
বৃদ্ধ পথিক ভিজাইয়াছে,গ্রামের শুষ্ক সরনী সরণী,
ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যা বেলায়,প্রদীপ ধরায় ঘরণী ।
ক্লান্ত শিশিরে ভরে অঙ্গন ,নারিকেল দেয় চাঁদে চুম্বন ,
অষ্টাদশী জ্যোৎস্না মিলায় দীঘির পদ্ম পাতায়,
ছেলের হঠাৎ ক্রন্দনে মা রাখে হাত তার মাথায়।
রাতটি গড়িয়ে চলে ,ঝিঁঝিঁ কত কথা বলে ,
কুয়াশা চাদর কোন্ তাঁতি গড়ে ?- এই প্রশ্নের তরে,
রাতের ঐ ধ্রুবতারাটিরও ঘুমটুকু লাটে চড়ে ।
আবার বিহান ফিরায় আলো,হয় যে রাতের শেষ ,
সোনালী ধানেই ঘটাতে চায় কৃষক তার উন্মেষ ।
এই সবই চলে ,সকালে বিকালে ,
বসন্ত আসে যায় ,
কারো চাহনি তো প্রশ্ন করেনি- কোথা হতে এলে ভায়!
বসন্ত তবু নিরাশ না হয়ে ভেবে যায় এক মনে ,
আড্ডা জমাবে তার সাথে,এসে অচেনা কোনো-জনে।।