স্ট্রিট লাইটের নিয়ন বাতি দপ করে নিভে গেল।
মিলের সাইরেনের ভোঁ ভোঁ আওয়াজের সাথে আজানের সুর ক্ষীণ হয়ে গেল।
কুয়াশার চাদর মুড়ে ফুটপাতের জীবন সুলভে লাইন দিতে গেল।
দিগন্তরেখায় রক্তিম আভা এখনো আসেনি
হয়তো তিনিও লাল জামা পরতে ব্যস্ত আছেন।
প্রভাতী কীর্তনিয়া ঘুম চোখে বাসায় ফিরছে।
খঞ্জনিতে মৃদু শীতের পরশ লেগে পাঞ্জাবির ভিতরে বুকের বামদিকে শীতলতার ধাতব আবেশ নিচ্ছে।
চারিদিক ধীরে ধীরে কলতানে মুখর হয়ে উঠছে।
নৈশ নিপীড়নে জর্জরিত বিছানাটা শীতলতার আমেজ অনুভব করছে।
গৃহস্থ রমণী উঠোনে গোবর ছিটিয়ে দিয়ে করতালি দিয়ে হরিনাম করতে করতে শীতল করযুগলকে পবিত্র করছে।
খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা আছে রসের উৎস সন্ধান করতে তৈরি হচ্ছে সবুজ লতাপাতা।
একটা নতুন দিনের শুরু এভাবেই জানান দিচ্ছে ঘাসের আগায় শিশির বিন্দুর ন্যায় ক্ষণিকের জীবনে অনুভূতিই আসল বাকীটা যাপনচিত্র।
চোখের কোণের কালিমা মুছে সংসারী রাঙা হবে এবার।
ঠিক একই ভাবে পূব আকাশে রবির উদয় শীতলতার আবেশকে বিদায় জানিয়ে স্বমহিমায় জগতকে আলোকিত করবে।