যদি তুমি একজনকে হত্যা করো তবে তুমি খুনি,
যদি হত্যা করো কয়েকজনকে তাহলে তুমি বীর,
আর যদি সবাইকে মেরে ফেলো তবে তুমি ঈশ্বর !- জিইন রোস্ট্যান্ড


ওইতো, বৃদ্ধা যখন জেগে উঠেছে
তখন ধ্বংসস্তূপে ভর্তি চারিদিকে ,
রক্তমাখা শরীর, চোখে দেখছে মৃত্যুর মিছিল, শোকে শূল
শিশুর কান্না দেখে বুঝা যায় হারিয়েছে সে সব স্বজাতকুল
আসমানে উড়ছে উত্তরাধুনিক ক্ষুধার্ত রোবোটিক শকুন
খেয়ে নিচ্ছে কর্কশ গোগ্রাসে বানিয়ে নীতি নিত্য নিপূণ  
দেশী-বিদেশী সৈনিকের বৈপরীত্ব লড়াইয়ের শব্দে কান ফেঁটে লহুধারা
সকলে বোবা, বধির, অন্ধ হয়ে যেনো পরাশক্তির আশ্রয়ে দিচ্ছে সাড়া
নিস্পলক, বিধ্বস্ত চোখের ভাষা বুঝার লোক আর নেই
সবই হারিয়ে হারিয়ে শান্তির সান্ত্বনা বেঁচে আছে মিছেই !

হ্যাঁ, শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত পৃথিবী বিজ্ঞানের অতিশয় উৎকর্ষে
কার কি আসে যায় সাম্রাজ্যবাদীদের ব্যয়বহুল তামাশার যুদ্ধে!
সৈনিক যদি মারা যায়- শহীদ, বেঁচে গেলে- গাজী!
জনসাধারণ- গণতান্ত্রিক সংবিধানের অর্থহীন মেদ নীতি;
ওদের বাড়ানো-কমানো পরাশক্তি নেতাদেরই কেরামতি !

বীর- সে স্বদেশের সৈনিক বলে; বিশ্বাসঘাতক, দ্বন্দ্বী বিদেশের কাছে
যুদ্ধ -অভিজাত ব্যবসায়ী তন্ত্র; অতি বিপ্লব- নিছক ধ্বংস, পার্থিব দ্বন্দ্ব

মানবেতরে কে শুনে কার কথা, কে বুঝে কার ভাষা
শক্তি যার নিয়মও তার, সেই তো সাংবিধানিক স্রষ্টা

ধ্বংস দিয়েই যদি নতুন সৃষ্টির হয় উন্মোচন; হয় যদি শান্তি রচনা
তবে দেরি কেন? মারো, বীর হও, হও ঈশ্বর, যুদ্ধই হোক প্রার্থনা !


© মাহতাব বাঙ্গালী
মার্চ ০২, ২০২২
চট্টগ্রাম