সময় মহাকালের পরিযায়ী অভিযাত্রী
মরুময় ন্যানো সেকন্ডের নির্যাস খুঁজে ফিরে
গড়ে তোলে ধীরে ধীরে মহাকাল
সকল শূন্যতায় এ তুমি এক আঠারো আমার
কালের অক্ষাংশ আর দ্রাঘিমাংশ ঘেঁষে ঘেঁষে
অভিসারে আসে আর যায় মিলিয়ে
রেখে সব জানা অজানা স্মৃতি
দৃশ্যমান অস্তিত্বের পূর্ণতায় সে আঠারো তুমি আমার
খসে পড়া চাঁদ নয়, নয় নিশীথ ধ্যানী জোছনা
লক্ষ্যের অলক্ষ্যে ব্যোমের মহাসাগরে ফোটে থাকা নক্ষত্র নয়
নয় এ সুবিন্যস্ত ভূমির আলোকবিন্দুর সে মহাপ্রাণ
সে তুমিই, সে তুমিই আঠারো আমার
অনুর বিভাজিত রূপে পরমাণুর রূপ আমি দেখিনি
হৃদয় ব্যাসার্ধের অনুকৌণিকে চলিষ্ণু আমি
মিলেনিয়ামের প্রারম্ভিক জোয়ারে
এসেছো তুমি অনন্যা আঠারো হয়ে শুধুই আমার
পত্র-পল্লবে ঘেরা চানকে চিত্তবৃত্তির উপঢৌকনে
দু'একফোঁটা অশ্রু কাজল কাব্যিক চন্দ্রের রন্দ্রে রন্দ্রে
আপন চিত্তপুত্তলিকা জাগিয়ে চির প্রণয় মতি
জাগিয়েছে আমায় সে অনবদ্য আঠারো তোমার
এ তুমি স্রষ্টার আশীর্বাদ, অকৃত্রিম কৃপা
এ তুমি পূর্ণতা, জ্ঞানালোকের বোধগম্যতা,
চলনে, বলনে, কথনে, লিখনে এ তুমি স্বজ্ঞা
এ তুমিই আমার চির চৈতন্য সঞ্চারী প্রজ্ঞা
এ তুমি আঠারো
এ তুমি চির আঠারো
হোক আঠারোর চির জন্ম
তোমার আমার যুগল যোজনে হয়ে সর্বজয়া
© মাহতাব বাঙ্গালী
জুলাই ১৪, ২০২১ চট্টগ্রাম
(১৮ই জুলাই আমার সর্বপ্রিয় হবু জীবন সঙ্গিনীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে উৎসর্গ)