সেই ক্যানালটাও পোয়াতি ছিল ভরা গাঙের নায়ে
যখন এসেছিলে ছিপ নিয়ে ভর দুপুরে, ডানে কিংবা বা এ
আঁচড় কেটেছিলে নরম গালে একশো একটা চালে
ভর যুবতীর রক্ত দিবস দেখেছিলে প্রেম নিবেদন কালে
তারপর এক শতাব্দী অপেক্ষা তোমার পথের আঁকে বাঁকে
একলা নদী চলছে গতিস্রোতের ঝরা পাতার ফাঁকে ফাঁকে
সেই ক্যানালেই জন্ম নিল মহানন্দার লাজুক মেয়ে
গাঙচিলে বৈঠা দিল ছিপের টোপে অসমাপ্ত গান গেয়ে
সেদিনও তুমি এসেছিলে শালিক চড়া দুপুরে কলসি নিয়ে কাঁকে
গভীরতার ভিতরে যে শব্দের বুক ফাটা শোক বলবে কাকে?
শূণ্য ভীষণভাবে তোমার অভাবে দেখছে তোমায় তোমার প্রতিচ্ছবিতে
ক্লান্ত কান্না আর জলোচ্ছাস পাচ্ছ শুনতে? যদি পেতে…
ভিজে সপসপ থমথমে খরস্রোতে ছাড়খার ঢেউ
যন্ত্রণা বোঝে, অশরীরীর খোঁজ রাখেনা কেউ
সেই নদীটা একলা একা জল খেলায় না বলা কথা থেকে গেল বাকি
শব্দ-ধ্বনি , মৃদু হেমন্ত বেলা রইল পড়ে পাতা ঝরা রাতের পাখি
আবেগ হীনতা চোখের ভাষা জানা তো হলো না
হলো না তো দেখা
যেদিন সীমানা প্রাচীর বলে কিচ্ছু থাকবে না, সেই বিকেলে রেখে যেও বলিরেখা।