তোমায় মনে পড়ে,  খুব মনে পড়ে
দুষ্টুমি করলে আমায়
কোলে তুলে নিতে আদর করে।

সেই আদর থেকে আজ আমি হলাম বঞ্চিত।
তুমি চিরদিনের মত চলে গেলে
আজ যে আমি বড়ই দুঃখিত।

তোমার হাতে খাবার না খেলে ভরত না পেট আমার ,
মোর চোখে ভাসে সেই মধুমাখা মুখটি তোমার।

বিদায় নিয়ে চলে গেলে কভু আর এলে না ফিরে-
তোমারে না দেখলে মম আঁখি পাতে ঘুম নাহি আসে।

খাটে বসে থাকতে তুমি
খেতে পাখার বাতাস
কত দুষ্টুমি করতাম তবুও আদর করে ডাকতে আমায় আকাশ।

মনে পড়ে, খুব মনে পড়ে
অতীতে ঘটে যাওয়া কতই না স্মৃতি,
ভুলতে পারি না আমি তোমার  সেই
বুকভরা ভালবাসা ও স্নেহ - প্রিতী।

এই বুকের খাঁচায় যতন করে রেখেছিলাম তোমারে
আজ সেই সোনার খাঁচা ভেঙে চলে গেলে দূরে।

আমাদের ছবি তুমি রেখেছিলে বক্ষ মাঝে সারাক্ষণ
সেই ছবি ছিল তোমার জীবন মরন।

আবার কানাই - ভেঁপু বাজিয়ে তুমি
পেয়েছ অনেক মানিক রতন
সেই সব তুমি রেখে গেছ করে বহু যতন।

আবার গাইতে কত ভগবানের অমৃত গান
সেই গান গেয়ে আজ প্রাণ দিলে বলিদান।

যখন মনে পড়ে -
খুব মনে পড়ে তোমাকে
দু চোখের নোনা জল
অবিরত ঘিরে থাকে আমাকে।

যখন বসে বসে জাল বুনতে মাছ ধরার নেশায়,
স্কুল থেকে ফিরে এসেই দিতাম গোল পাকিয়ে।

আবার মাঝে মাঝে
যখন তুমি খাবার খেতে
কোথা থেকে যেন উড়ে এসে
পড়তাম তোমার পাতে।

যখন তুমি মজার ছলে নাইবা দিতে
হা করে মুখ দেখিয়ে বলতাম আ আ করে
তখন পাগলী বলে দিতে মুখে খাবার গুজে।

তোমার মাখা সেই খাবার ভীষণ প্রিয় ছিল মোর
সেই খাওয়া মুখ হারিয়ে গেল আসিল সকল দুঃখ ঘোর।

একদিন স্বপ্নে তুমি দেখা দিয়ে
এসেছ মোর কাছে
হাতছানি দিয়ে বলছ যেতে
তোমার পাছে পাছে।

যখনই পড়ে শুধু তোমাকে মনে
অঝোর ননয়ে অশ্রু ঝরে প্রতিটিক্ষণে।

তবুও যে কেন
এই ব্যথার আগুন নেভে না
বলছি আমি তাই
জনম-দুখিনী কপাল পোড়া
আমি একজনা।


                            বৃষ্টি মন্ডল
                                  (বনি)

(এই লেখাটি আমার বাবাকে নিয়ে, ২০০৬.২৬.০৭ সেই দিন সত্যিই বাবিন আমার স্বপ্নে এসেছিল তাই তখনই লিখি। আজ বাবার ১১বর্ষ বার্ষিক অনুষ্ঠান।
আমি বাবিনকে খুবই মিস করি আজ ও। বাবিন তুমি যেখানেই থাক ভালো থেকো।)