গোধূলির হাতে আঁধপোড়া ইট বেলোতে নিলেম ছুটি
রাতের দেয়ালে লিখেছি মন্ত্র অ-লিখিত পাগলামি বুঝি!
ইতিহাস তোকে লেখে মহেঞ্জদাড়ো আর হরপ্পা সভ্যতা
আঙুল থেকে খুলে যায় মৃত দেহ, চাদরে মোড়া ভদ্রতা।
খোদাই করা শীলমোহরে লেখা হবে তোরই দেয়া ডাক নাম
শব্দগুলো গুছিয়ে রাখ; পাবে ঠিকই তোর লেখা চিরকুটের দাম।
বৃষ্টি আসার আগে তাম্র গন্ধের সূর্যটা ঠিকই চিনে ফেলে
অজানা কেশ ভিজিয়ে নিস আকাশ ছেঁচা জলে।
অ্যাঞ্জেলার জলাধারায় পা ভিজিয়ে ডুব দেয় চৌকাঠে তোর
বিষন্নতার উদাসী নয়নে যদিও থাকে কোনো ব্যাকটেরিয়া চোর।
সেলুকাসে মোড়ানো অ্যাসিডের জ্বালা চুপে গেছে কতকাল,
একটি জীবনের আত্মহত্যাই এঁকে দেয় গণতন্ত্রের মায়াজাল।
শিশুর আঁচল টেনে ধরার মত টেনে ধরে স্মৃতিকূল
ভেসে আসা শকুনির যৌবন নোঙর ফেলে ফোঁটায় হূল।
শহরের উষ্ণতম দিনে পিচ গলা রোদ্দুরে থার্মোমিটার মেপে নিল সভ্যতার জ্বর।
বৃষ্টি আসার আগে চমকায় বিদ্যুৎ কোনো এক কালবৈশাখীর ঝড়।
পুরনো মিছিলে পুরনো ট্রামেদের সারি
ফুটপাতে ঘেঁষা বেলুন গাড়ি- কি আর বা দিতে পারি?
এক্সচেঞ্জ অফার কুড়াতে কুড়াতে দূর্বীনে চোখ রেখে গগন চুমী!
মমির পাঁজর ভেঙে নোঙর শুধু দিক বাতলাবে; নিস্তার পাবে না তুমি।