স্তব্ধ নিঝুম পল্লী প্রান্তরের মাঝে
আমি একলা বসে।
ঢুলু ঢুলু ঘুমে আঁখি ছল ছল করিছে অবিরাম
ভর দুপুরে নেই চোখে ঘুম।
কোথা গেলে ক্ষনিকের মিলিবে বিশ্রাম
হব আমি শান্ত হবে একটু ঘুম।
জানি না
কী ছিল আমার অপরাধ
মিটল না কোন সাধ
পেলাম শুধু অপবাদ
নিরাশায় কাটে রাত
মেঘে ঢাকে চাঁদ ।
শুধু মরিচিকার খোঁজে চলেছি পথ হতে পথে।
বৃথা এ জীবন
সাধনা এ ধিমান
হায়! কেমনে বোঝাব আমি
আমার মনের কথা
কাহাকে শুধাব আমি
আমার মনের ব্যথা,
হায়! কে করিবে আমায় একটু শ্বান্তনা।
নেই কেউ
এই জীবনের পথে
শুধু আমি একলা বসে।
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
মন পাখি ভাঙা নীড়ে আর ফিরে
নাহি যেতে চায়।
জানি না
কি করে জানাব আমি
মনের শত বাসনা -বল
কে করিবে পূরন?
নেই তো কেউ জীবনের সাথে
শুধু আমি একলা বসে আছে পথে।
শুধু
অশ্রু সজল নয়নে
ক্রন্দন ভরাতুর হৃদয়ে
সারা রাত দুপুর কেঁদে ওঠে মন হায়! কেমনে বোঝাব আমি কিসের
কারণে কাঁদে এই অভাগা মন
কী চায় যে এ মন তা তো জানি না।
কী ছিলাম আমি আগে
এখনই বা আছি কেমনে
নিজের পরিচয় যে আজ
নিজেকেই যেতে হয় ভুলে।
হায়! মন পাখি ডানা মেলে
যেতে চায় অজানা পথে
হতে চায় মুক্ত বিহঙ্গ।
কিন্তু কী করি?
পথের নিশানা কোথা?
খুঁজে যে পাই না আমি পথেরই ঠিকানা।
কে লইবে আমার ভার
কে করিবে আমারে উদ্ধার
এই জীবনের পথে কেউ নেই যে
শুধু আমি একলা বসে।
একা এসেছি এই জীবনে
যেতে ও হবে একা তবু ও শুধু
বারে বারে ফিরে দেখা
দু দিনের মায়াজাল।
আজ তাই আমি একা
আমি শুধুই একা এই মাঝ পতে
আর নেই তো কেউ মাঝ পথে
কাঁটা হয়ে দাঁড়াবার মত।।
বৃষ্টি মন্ডল
(বনি)
( বার্ধক্যের আঁধার ঘনিয়েছে দেহে যবে।)