যাচ্ছি।
রাতের ভাতগুলো সকালে
খেতে ভালো না লাগলে-
আমার টুবুন সোনাকে খেতে দিও।
তোমরা, বাইরে থেকে আনিয়ে নিও-
কাচ্চি।
যাচ্ছি।
অফিসে-
ভুলোমনা হয়ে ও’বেলায়,
নিজের কাজের বাহানায়-
বুবাইয়ের স্কুলে যেতে ভুলোনা।
শ্যামলীটা ভাইরালে নাকাল ক'দিন আসবেনা-
হাঁ...চ্ছি।
যাচ্ছি।
সেইতো-
আজকাল আমিই বোধহয় বেশিবেশি বলি,
বলি মুখে মেখে চুনকালি!
এই সংসারে একেএকে গেলো কতোদিন
কতো বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিনের ঋণ।
প্রেমিকা থেকে ঘরনি হয়ে, বউমা হয়ে
মা হয়ে, চাকরীজীবি হয়ে-
আমার রোজনামচাটার কোনদিন জোটেনি-
একবিন্দু ফুলস্টপ। ওহ! আমি যে তোমার ঘরণী।
হা-হা-হা। হ্যাঁ, হাসছি!
যাচ্ছি।
ভালোবাসা দিবস?
দিবস উদযাপনের আনন্দ খুঁজেছি-
রাতের বাসিভাত কিংবা অপচয়ের এঁটো-আচারে
ভালোবেসে খেয়ে নিয়েছি-
তোমাদেরই অগোচরে; তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছি।
কোনদিন করিনি আপস-
তোমাদের সুখের স্বার্থে, অর্থে বা অনর্থে;
ওগো, এইতো আমার রোজকার ভালোবাসা দিবস।
তবু আজকের বৈশ্বিক দিবসে তোমরা আমার শুভেচ্ছা নিও,
বুবাইকে সময় মতো খেতে দিও।
লক্ষ্মীটি। মনে করে আনিয়ে নিও-
কাচ্চি।
যাচ্ছি।
*টুবুন- সুকণ্যার পৌষ্য
*বুবাই- সুকণ্যার পুত্র
*শ্যামলী- সুকণ্যার বাড়িতে কাজের সহযোগী।
©সুব্রত ব্রহ্ম
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
ময়মনসিংহ।