দিদা, নানী, দাদি, ঠাকুরমা- এই মানুষগুলো আর কোনদিন আমাদের জীবনে ফিরে আসবেন না৷ স্বর্গের চেয়েও সুন্দর বাংলার যৌথ পরিবারগুলোর মধ্যমনি ছিলেন তাঁরা। আমাদের অক্সিজেন ফ্যাক্টরি ছিলেন তাঁরা। সুন্দর দিনের ছবি মনের গহীনে তুলে রেখে আজ অসীম সংকীর্ণতায় আমাদের বাস। পরম করুণাময়ের সান্নিধ্যে তাঁরা ভালো থাকুন। শান্তিতে থাকুন, এই কামনায় একটি স্মৃতি তর্পণ।

দিদা আসছে দিদা যাচ্ছে
দিদা হাসছে দিদা কাঁদছে
বুড়ো ব্যাগখানা হাতে ঝুলছে
দিদা হেলেদুলে গলি হাঁটছে।
দুটো কচি হাত ঘিরে ধরেছে
বুড়ো হাতখানা ধরে টানছে
গল্প শোনার দিন এসেছে
আদরে আদরে বান উঠেছে।

গল্পের দিন কবেই গেছে
আবছায়া রঙ ঝাপসা কাঁচে
গল্প বুড়ির জাদুর ছোঁয়া
ভীষণরকম কাছে টানছে।
দিদা আসছে দিদা যাচ্ছে
দিদা হাসছে দিদা কাঁদছে
দশটাকা হাতে গুঁজে দিয়ে ফের-
দিদা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

দিদা কই... দিদা কই... দিদা কই?
আজ তোমাকে খুব প্রয়োজন- দিদা কই!

বড় অচেনা এই পৃথিবী
ক্রমে শুন্য চেনা পরিধি
মনে জঞ্জাল জমে যাচ্ছে
আর হৃদয় ভারী হচ্ছে।
দিদা আসছে দিদা যাচ্ছে
দিদা হাসছে দিদা কাঁদছে
আর ঘোলাটে কাঁচ গলে তাঁর
হাসি মুখখানা মনে ভাসছে।

©সুব্রত ব্রহ্ম
৫ ডিসেম্বর, ২০২৪খ্রি:
ময়মনসিংহ।