খোলা জানালা দিয়ে হুহু করে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকছে,
ঘুটঘুটে অন্ধকারের বুক চিরে ছুটে চলেছে ট্রেন,
ঘুমে ঢুলুঢুলু যাত্রী এদিকওদিক দোল খাচ্ছে।
কামরার মিটিমিটি আলোতে, পান বিক্রেতার
রহস্যময় হাসি সংক্রমিত হয় দরজায়-
হেলান দিয়ে বসে থাকা লাস্যময়ীদের মুখেও।
ক্রন্দনরত ছোট্ট শিশুটি এখন-
মুখে আঙ্গুল পুরে মায়ের ওমে অচেতন।
তার স্বপ্নে রাত নেই, যুদ্ধ নেই, শুধু ভরা সকাল!

লোকাল ট্রেন যেন বয়োবৃদ্ধ দাদু,
লাঠি ভর দিয়ে চলেছে, মাঝেমাঝে থামছে-
কখনো স্টেশন কখনো জঙ্গলে।
জঙ্গল থেকে ভুতের মতো-
উঠে এলো একটি চা বিক্রেতা।
কয়েকজনকে চা-সিগারেট খাইয়ে নেমে গেলো সে,
চোখের অদ্ভুত ইশারায় তার সাথে-
নেমে গেলো এক লাস্যময়ী।
রাতের নীরবতা খানখান হয়ে গেলো-
অকস্মাৎ হুইসেলের প্রবল শব্দে, চলতে শুরু করলো ট্রেন।
পিছনে পড়ে রইলো রহস্যময় অচেনা দুটি মুখ,
আর কালি গোলা নিকষ কালো অন্ধকার।
এখন আমিও একটু ঘুমোতে পারি।
আমার স্বপ্নে কেবলই রাত, অনন্ত রাত!

©সুব্রত ব্রহ্ম
২৯ আগস্ট, ২০১৬ইং:
ময়মনসিংহ।